Advertisement
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
Composite Grants

‘কম্পোজ়িট গ্রান্ট’ মেলেনি, বিপাকে স্কুল

টাকা না পাওয়া নিয়ে অবশ্য শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন দোষ চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নমিতেশ ঘোষ , পার্থ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১২
Share: Save:

নতুন বছর পড়লেও অধিকাংশ স্কুল পায়নি কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুল ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি একটি টাকাও পায়নি বলে অভিযোগ। উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি এক চতুর্থাংশ টাকা পেয়েছে ঠিকই, তবে সেই টাকা অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। ফলে স্কুল-শিক্ষকদের নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই আপাতত স্কুলের সংস্কার থেকে সরঞ্জাম কেনার কাজ করতে হচ্ছে। যা নিয়ে কোচবিহার থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ারের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কোচবিহারের হলদিবাড়ির একটি প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত আমাদের স্কুলের জন্য অনেক কাজ করতে হয়। প্ৰশ্নপত্র তৈরি, শৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে মাঠ সাফাই, স্কুলের পরিকাঠামোগত কিছু সংস্কার বা চক-ডাস্টার কেনার মতো কাজ থাকে। ওই টাকা না পাওয়ায় খুবই অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’’

ওই টাকা না পাওয়া নিয়ে অবশ্য শাসক দলের শিক্ষক সংগঠন দোষ চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে। শাসক দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের কোচবিহার জেলা সভাপতি অশেষ বসাক বলেন, ‘‘কেন্দ্র বরাদ্দ আটকে রাখাতেই সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যেও রাজ্য সরকার নিজেরাই কিছু বরাদ্দ দিয়েছে।’’ বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা বিনয় সরকার বলেন, ‘‘কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা না পাওয়ায় বহু স্কুল অসুবিধায় রয়েছে। অনেক স্কুলেই চেয়ার-টেবিলের সমস্যা রয়েছে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের দোষ চাপালেই দায় শেষ হয়ে যায় না। অবিলম্বে এই টাকা বরাদ্দ করা উচিত রাজ্য সরকারের।’’

কম্পোজ়িট গ্রান্টের অর্থ না পাওয়া নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে আলিপুরদুয়ারের স্কুলগুলিও। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো স্কুল সম্প্রতি কম্পোজ়িট গ্রান্টের ২৫ শতাংশ অর্থ পেয়েছে। কিন্তু জেলার প্রায় সাড়ে আটশো প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০২৪ সালের এই তহবিলের একটা টাকাও পায়নি। ফলে আলিপুরদুয়ার জেলায় সব চেয়ে সমস্যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।

এবিপিটিএ-র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “একটা স্কুল চালাতে গেলে কম্পোজ়িট গ্রান্টের অর্থটা খুবই জরুরি। উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলোকে রাজ্য সরকার কিছু অর্থ দিলেও প্রাথমিক স্কুলগুলোকে বঞ্চিত করে রেখেছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভাস্কর মজুমদারের বক্তব্য, “শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। অথচ, কেন্দ্রীয় সরকার বাকি সব ক্ষেত্রের সঙ্গে কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকাও রাজ্যকে দিচ্ছে না।
তাতেই সমস্যা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy