টহল: দক্ষিণ পোরো ইকো পিকনিক স্পটে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাহারা। ছবি: নারায়ণ দে
লাঠি হাতে দফায় দফায় টহল দিচ্ছেন আরতি, কান, দোমেন, রোশমি, সেবিকা রাভারা। পিকনিক স্পটকে বাস্তবে ইকো স্পট করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন দক্ষিণ পোরো ইকো পিকনিক স্পটের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গত বছর থেকে উদ্যোগ শুরু হলেও লাঠি হাতে ঘোরার ফল মিলছে এ বছর থেকে। মাইক সেট বন্ধ করতে বা মৃদু স্বরে মাইক বাজাতে বাধ্য হচ্ছেন পিকনিক করতে আসা স্থানীয়রা। মদ্যপ দেখলে বা মদ খেতে দেখলেই, লাঠি হাতে হাজির মহিলারা। এতে ভরসা পাচ্ছে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে আসা দলগুলিও।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ স্বীকার করে নেনে এই সময় মদ্যপদের উৎপাত বাড়ে। গাড়ির মধ্যে বা পিকনিক স্পটে জোরে জোরে মাইক বাজানোর প্রবণতা রয়েছে। এ বছর পিকনিক স্পটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশও। তা ছাড়া মালবাহী গাড়ি যাতে পিকনিক করতে যাওয়া দলগুলিকে ভাড়া দেওয়া না হয় তার জন্য পরিবহণ সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে। চলন্ত গাড়িতে করে যাতে মাইক না বাজানো হয় তার উপর নজর রাখা হবে।
পোরো পিকনিক স্পটের সম্পাদক আরতি রাভা বলেন, ‘‘গত বছর প্রায় এক লক্ষ মানুষ ভিড় করেছিলেন। মদ্যপদের উৎপাত নিয়ে মহিলারা নিয়মিত অভিযোগ করতেন। গত বছর থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই লাঠি হাতে এলাকায় টহল দেব।’’ গত বছর সবাইকে সতর্ক করা হয়। বেশ কিছু মদ্যপের থেকে মদের বোতল নেওয়া হয়। এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু মদ খাওয়া বন্ধ নয়। পোরো নদীর ধারে এই ইকো পিকনিক স্পটে যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে তাই মাইক বাজানোও বন্ধ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy