কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম।
খেলার সময় সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মীরা মিশে থাকবেন স্টেডিয়ামের ভিড়ে। সব গ্যালারিতেই। বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরাও থাকবেন। ভিড়ের মধ্যে দর্শক হিসাবে থাকবেন বহু সিভিক ভলান্টিয়ার্স। লক্ষ্য, দু’ দলের সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের আঁচ দেখলে তা গোড়াতেই নিভিয়ে দেওয়া। আজ রবিবার শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নির্বিঘ্নে খেলা করাতে এমনই আয়োজন হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশ তো রয়েইছে। সামিল উদ্যোক্তা আইএফএ এবং শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘নিরাপত্তার জন্য ৫০০ পুলিশ থাকছে। মহকুমা পরিষদ ১০০ বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী দিচ্ছে।’’
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পাহাড়ে অশান্তি রয়েছে। তার উপর পুজো। তাতে আজ, রবিবাসরীয় ডার্বিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ভরবে কি না তা নিয়েই ম্যাচের আগের দিন দুচিন্তায় আইএফএ এবং স্থানীয় সংগঠক শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কয়েকজনের আশঙ্কা, ‘‘পরিস্থিতি যা তাতে ৩২ হাজার আসনের স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ডার্বি দেখতে ১০ থেকে ১২ হাজার দর্শক উপস্থিত হবে। এর বেশি হলে বুঝতে হবে তা ভাগ্যের জোরে হয়েছে।’’
এ দিন দুপুরে দুই দলের অনুশীলনের পর মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেই ফেলেন, ‘‘টিকিট আশানুরূপ বিক্রি হয়নি। ১০-১২ হাজার দর্শক আমরা আশা করছি। কলকাতায় যে ৬ হাজার টিকিট দুই ক্লাবকে পাঠনো হয়েছিল তার বড় অংশ বিক্রি হয়নি বলে শুনেছি। অন্যান্য বার দেখেছি চাহিদা থাকলে কলকাতা থেকেও প্রচুর ফোন আসত টিকিটের জন্য। এবার তা হয়নি।’’ সংগঠকদের তরফে প্রচারের অভাবকেও দায়ী করা হচ্ছে। খেলা নিয়ে শহরে কোনও হোর্ডিং নেই। তবে শেষ বেলায় কলকাতা থেকে বাসে অনেকে রওনা হচ্ছেন বলেও খবর মিলেছে।
এই ডার্বিতেই চূড়ান্ত হবে টানা আটবার লাল-হলুদের দখলে থাকছে কি না কলকাতা লিগের ট্রফি। না পুজোর আনন্দ ডার্বি জয়ে রঙিন হয়ে ফুটবে সবুজ মেরুন শিবিরে। ট্রফি বোধনের এই ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের ভিড় হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক।
পুজোর সময় ডার্বিতে ভিড় কম হতে পারে ভেবে ২৬ হাজার টিকিট করা হয়। শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে হাজার চারেক টিকিট স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়েছে। শনিবার ম্যাচের আগের দিন সব মিলে টিকিট বিক্রি আড়াই হাজারের মতো। ডার্বিতে ৫-৭ হাজার দর্শক কলকাতা থেকেই শহরে আসত। এ বার কত হবে আন্দাজ করতে পারছেন না কর্মকর্তারা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ম্যাচের দিন দুই দলের সমর্থকরা কেমন আসেন সেই দিকেও তাকিয়ে উদ্যোক্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy