স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দিলেন কেয়া সেন। নিজস্ব ছবি।
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। কিন্তু বেতন বন্ধ হয়নি। বিনা পরিশ্রমের বেতন নিয়ে স্বস্তিতে ছিলেন না জলপাইগুড়ির স্কুলশিক্ষিকা। তাই সেই বেতনের টাকা দিয়ে কিনলেন অ্যাম্বুল্যান্স। মঙ্গলবার সেটি দান করলেন কোভিড আক্রান্তদের পরিষেবায়।
জলপাইগুড়ি ২০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কেয়া সেন রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি বিএফপি স্কুলের শিক্ষিকা। গত দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ। তার পরেও বেতন পাচ্ছিলেন নিয়মমাফিক। সেই টাকা দিয়ে সেবামূলক কিছু করা যায় কি? প্রশ্নটা বাড়ির সকলকে করেছিলেন। বড় ছেলে স্পন্দনই অ্যাম্বুল্যান্স কেনার পরিকল্পনাটি দেন তাঁর মাকে।
কেয়া রাজি হয়ে যান। যদিও পুরো টাকাটি তাঁর কাছে ছিল না। কেয়া এর পরে স্বামী প্রবীর সেনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে এটি কিনে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদ হলে তাঁরা ওই সংস্থার হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দেন।
এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেয়া বলেন, ‘‘বিগত দেড় বছর ধরে মাসে মাত্র ১-২ দিনই কাজ করতে হচ্ছে। বাকি প্রায় পুরো মাস বিনা পরিশ্রমেই বেতন পাচ্ছি। মাসে অন্তত ২৬ দিন স্কুলে যাওয়ার কথা। এ ভাবে বেতন নিতে আমার লজ্জা লাগছিল। তাই অ্যাম্বুল্যান্স কিনে তা জেলাপরিষদের মাধ্যমে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দান করলাম।’’ কেয়ার বিশ্বাস, এ ভাবে সবাই এগিয়ে এলে করোনাকে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy