ধর্মনারায়ণ বর্মা। —নিজস্ব চিত্র।
অসম-বাংলা সীমানায় কোচবিহারের প্রান্তিক মহকুমা তুফানগঞ্জে খুশির হাওয়া। কারণ, পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন সেখানকার এনএনএম হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ধর্মনারায়ণ বর্মা। কামতাপুরি ভাষায় ১৭টির বেশি বই লিখেছেন হরিপুরের ওই বাসিন্দা। পারিবার সূত্রে খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান ধর্মনারায়ণ। পড়াশোনা করতেন হার্ডিঞ্জ হস্টেলে থেকে। চাকরি জীবনের শুরুতে কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে (মেন) সহকারী শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু মায়ের চিকিৎসার কারণে ফেরেন তুফানগঞ্জে। পরে তুফানগঞ্জ এনএনএম উচ্চতর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ওই স্কুল থেকে অবসর নেন তিনি। ২০১৯-এ ‘গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি’ থেকে সাম্মানিক ডক্টর ডিগ্রি পান।
পুরস্কারের খবরে ধর্মনারায়ণ বলেন, ‘‘ভারত সরকারকে ধন্যবাদ। রাজ্য সরকার কামতাপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পুরস্কার নিতে দিল্লিতে গিয়ে আবেদন জানাব যাতে কামতাপুরি ভাষাকে কেন্দ্রও স্বীকৃতি দেয়।’’
হরিরধাম হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র বসাক বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ ইতিকথার পটভূমিকায় একাধিক বই নজরে পড়লেও কোচবিহারের গৌরবময় ও বৈচিত্র্যময় ইতিহাসের ভিত্তিতে উপন্যাসের ঘাটতি পূরণ করেছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা।’’
ধর্মনারায়ণের ছেলে আশিসকুমার বলেন, ‘‘দেশ-বিদেশে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের ভাষা কামতাপুরি। বাবা এত দিনে প্রাপ্য সম্মান পেয়েছেন। এ বার কেন্দ্রীয় সরকার ওই ভাষাকে স্বীকৃতি দেবে আশা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy