প্রতীকী চিত্র।
বেতন দেরিতে পাওয়া নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করল। শিক্ষকদের অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে উত্তরবঙ্গের ৫৬টি কলেজে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিলিগুড়ির এক কলেজ অধ্যাপক ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারপরই দ্রুত সব কলেজের শিক্ষকদের বেতন মেটাতে জলপাইগুড়ি বিভাগের আঞ্চলিক শিক্ষা দফতর (উচ্চশিক্ষা)-এ তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের একাংশের। মঙ্গলবার, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষকদের বেতন ছেড়েও দেওয়া হয়। যদিও আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরের কর্তাদের দাবি, অ্যালটমেন্ট নিয়ে একটা সমস্যা হওয়াতেই এমন দেরি।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে অবস্থিত আঞ্চলিক শিক্ষা দফতর (উচ্চশিক্ষা)-এর আওতায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ৫৬টি কলেজ রয়েছে। যে কলেজগুলোর শিক্ষকদের বেতন ওই দফতরের মাধ্যমেই হয়। কিন্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রতিটি আর্থিক বছরে কয়েক দফায় তাঁদের বেতনের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যালটমেন্ট রাজ্য থেকে আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। আর যে মাসে অ্যালটমেন্ট আসে সে মাসেই বেতন পেতে দেরি হয়। তবে গতমাসে অ্যালোটমেন্টের সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অবশ্য এই কলেজগুলোর মধ্যে অনেক কলেজের শিক্ষকদের বেতন পেতে দেরি হয় বলে অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের। কিন্তু চলতি মাসেও একই ঘটনা ফের হওয়ায় তাঁদের অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে।
গত মাসের বেতন এখনও না মেলায় ক্ষুব্ধ শিলিগুড়ির মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজের অধ্যাপক নিতাইচন্দ্র সাহা সোমবার ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করে অভিযোগ পর্যন্ত জানান। ওই অধ্যাপকের অভিযোগ, “রাজ্যের বাকি সব কলেজের শিক্ষকদের বেতন সময় মতো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের এই কলেজগুলোতে গত মাসেও দেরিতে বেতন হয়েছে। সেজন্যই দিদিকে বলোতে ফোন করে অভিযোগ করেছি।”
অল বেঙ্গল প্রিন্সিপাল কাউন্সিল (উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) সম্পাদক সমীরেন্দ্র সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরের অধিকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি শান্তি ছেত্রীর কথায়, আগামীদিনে এই সমস্যা নিয়ে আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরের নজর রাখা উচিত।
আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরের জলপাইগুড়ি বিভাগের অধিকর্তা অনিলরঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘শিক্ষকদের বেতনের ক্ষেত্রে অ্যালোটমেন্ট নিয়ে একটা অস্পষ্টটা তৈরি হয়েছিল। তা কেটে গিয়েছে। সে জন্য মঙ্গলবার ছুটি থাকলেও কর্মীরা দফতরে গিয়ে প্রায় ২০টি কলেজের শিক্ষকদের বেতন ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিরা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বেতন পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy