Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
Jalpaiguri

জেলা পরিষদের সহসভাধিপতিকে মাঝ রাস্তায় গুলি, ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

হামলার কারণ সম্পর্কেও ধোঁয়াশা রয়েছে। রাজনৈতিক নাকি ব্যবসার পুরনো শত্রুতা থেকে এই হামলা, সেই প্রশ্নও উঠছে।

গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। নিজস্ব চিত্র।

গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:২৬
Share: Save:

রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা গুলি করল আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদের সদস্য মনোরঞ্জন দে-কে। জলপাইগুড়ির মালবাজার কলেজের কাছে বৃহস্পতিবার রাত্রে তাঁকে গুলি করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলি চালানো নিয়ে তৃণমূল বিজেপির দিকে অভিযোগ তুললেও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ।

খাবারের ধাবা, বালি-সহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছেন মনোরঞ্জন। বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। ফেরার সময় জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত মালবাজার কলেজের কাছাকাছি এলাকায় রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করান শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য। অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। সেই সময় গাড়িতে মনোরঞ্জনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়িতে নিয়ে গিয়ে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মনোরঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রবীন্দ্রনাথ জানান, বেসরকারি নার্সিংহোমে মনোরঞ্জনের চিকিৎসা চলছে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। মালবাজারে যেখানে মনোরঞ্জনের উপর গুলি চলে শুক্রবার, সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও।

তৃণমূলের একটি অংশ দাবি করছে, এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। তবে একই সঙ্গে অনেকগুলি প্রশ্নও উঠছে– দুষ্কৃতীরা জানল কী করে মনোরঞ্জন মাঝ রাস্তায় ঠিক ওই জায়গাতেই দাঁড়াবেন? নাকি, তাঁকে ফলো করা হচ্ছিল? হামলার কারণ সম্পর্কেও ধোঁয়াশা রয়েছে। রাজনৈতিক নাকি ব্যবসার পুরনো শত্রুতা থেকে এই হামলা, সেই প্রশ্নও উঠছে।

জলপাইগুড়িতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ সুপার এবং সৌরভ চক্রবর্তী শিলিগুড়ি যান মনোরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে। যেখানে হামলা হয়েছে, তার আশপাশে যত নজরদারি ক্যামেরা রয়েছে তার ফুটেজ খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামলার কারণ-সহ গোটা ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE