প্রতীকী ছবি
শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় কোভিড হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যা তাতে শিলিগুড়ি শহরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রধান ভরসা ‘হোম আইসোলেশন’ এবং ‘সেফ হাউজ’-ই। শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টাস্কফোর্সের বৈঠকে এ কথা জানালেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। তিনি বলেন, ‘‘জেলার মধ্যে শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই সমন্বয় রেখে ব্যবস্থা নিতে বৈঠক হল। উপসর্গহীন এবং অল্প-উপসর্গ যুক্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে রেখে বা সেফ হাউজ়ে রেখে চিকিৎসায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাতে কোভিড হাসপাতালের উপর চাপ কমবে।’’ বয়স্ক, কোমর্বিডিটি যুক্ত রোগী যাদের চিকিৎসা জরুরি তাঁরাই হাসপাতালে যাবেন। এখন শিলিগুড়ি শহরে ৩৯ জন, জেলায় ১৪০ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, নার্সিংহোমগুলোতে চিকিৎসা পরিষেবার উপর নজরদারিতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে টিম হয়েছে। তারা অভিযান চালাবে। খামতিগুলো মেটাতে বলবে। নার্সিংহোমগুলোকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হবে। বারবার নিয়ম না মানলে লাইসেন্স বাতিল, আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুর এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ‘কোভিড ক্লাব’ গঠন হবে। ৩০ বছরের নীচে করোনাজয়ীদের যুক্ত করা হবে। এ ছাড়া স্থানীয় ক্লাব সদস্য, স্বেচ্ছাসেবীরা থাকবেন। তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের ওষুধ, জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন। জেলাশাসক জানান, জেলায় কোভিড কেয়ার ক্লাব হচ্ছে। করোনাজয়ীরা সেখানে কাজের জন্য ১৫ হাজার টাকা সাম্মানিক পাবেন। পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য শঙ্কর ঘোষ জানান, মোবাইল কিয়স্ক চালাতে দু’জন টেকনিশিয়ান দেবে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম, চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সচেতন করবেন কোঅর্ডিনেটররা। তাঁর দাবি, এলাকা ভিত্তিক লকডাউনে ২, ৩, ১৮, ২৮, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণ কিছু কমেছে। তবে জলপাইগুড়ির অধীনে থাকা সংযোজিত এলাকার কিছু ওয়ার্ডে সংক্রমণ বাড়ছে। তা নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিলিগুড়িতে ‘অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা শুরু হবে। অ্যান্টিবডি বা র্যাপি়ড স্যাম্পল টেস্ট করানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে জেলাশাসক স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হোম আইসোলেশনে নজরদারির জন্য একটি মনিটরিং সেল তৈরি হয়েছে। রোগীদের দু’বেলা ফোন করা হবে। তাঁদের কোনও সমস্যা হলে সেলের চিকিৎসকরা কথা বলবেন। সেফ হাউজ় এবং তাতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমায় তিনটি সেফ হাউজ় রয়েছে। পাহাড়ে একটি। কার্শিয়াঙে একটি চালু হবে। রোগী নেওয়ার জন্য ‘অ্যাম্বুল্যান্স পুল’ও তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy