ছবি: সংগৃহীত
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলনের তীব্রতা বেশ বেড়েছে। আইনের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি আন্দোলন, প্রতিবাদের নামে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় হিংসার ঘটনাও ঘটেছে। গত তিন দিন থেকে রাজ্যের ছ’টি জেলায় বিপর্যস্ত ইন্টারনেট পরিষেবাই। চরম দুর্ভোগে সাধারণ বাসিন্দারা। এ হেন পরিস্থিতিতে এখনও ময়দানে নেই বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও আরএসএসের মতো সংগঠন। সূত্রের খবর, এই দুই সংগঠন এখন অপেক্ষা করার নীতিই নিয়েছে। আন্দোলনের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রেখে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বহিন্দু পরিষদের এক নেতা বলেন, ‘‘কারা আন্দোলন, প্রতিবাদের নামে হিংসা চাইছে তা বাংলার মানুষ আগে দেখুক। আমরা এখন এ নিয়ে প্রচার বা অন্য কোনও কর্মসূচি নিচ্ছি না। এদের আন্দোলন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে সেটা দেখেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’’
তবে সূত্রের খবর, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও আরএসএসের এই মুহূর্তে পালটা আন্দোলনে নামার কোনও কর্মসূচি নেই। তবে জেলার কোন কোন এলাকায় কারা আন্দোলন করতে জমায়েত করছে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএসের প্রচারকরা। তাদের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রেখে এই দুই সংগঠনও পালটা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি জটিল হলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা আরএসএস আন্দোলনে নামতে পারে। আর তার আগেই যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তাহলে তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী প্রচার শুরু করবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। পরিষদের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সারা বছর ধরে বাড়ি বাড়ি যে প্রচার হয় সেই প্রচার আপাতত কম করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে তারা প্রচারে নামবেন।
কিভাবে প্রচার করা হবে? বিশ্বহিন্দু পরিষদ সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা হবে, এনআরসি হিন্দুদের জন্য নয়। এই ভাবে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করার কৌশল নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাই আপাতত এই এনআরসি ও নতুন নাগরিকত্ব আইনের সপক্ষে প্রচারে নেমে অহেতুক বাজার ‘গরম’ করতে চাইছে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy