Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Coochbehar

আসন রাখতে সক্রিয় বাম শরিক

বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হলে আরএসপি কি অবস্থান নেয়, তা নিয়ে কিছুটা হলেও ধন্দে ফ্রন্টের অন্য শরিকদলের জেলা নেতাদের অনেকেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০২:৫৬
Share: Save:

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও ফালাকাটা বাদে আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় বাম শরিক আরএসপি। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসা জেলার চারটি আসন ধরে রাখতে দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেসের জোট হলে আরএসপির এই দাবি মানা যে সম্ভব নয়, তা জানিয়েও দিয়েছেন ফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের জেলা শীর্ষ নেতারা।

ফ্রন্ট সূত্রের খবর, অনেকদিন আগে থেকেই আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের চারটিতে প্রাথী দিয়ে আসছে আরএসপি। জেলার বাকি একমাত্র ফালাকাটা কেন্দ্রটিতে প্রার্থী দেয় সিপিএম। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা হলেও আলিপুরদুয়ারে ফ্রন্টের অন্দরে তা নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়ানো কংগ্রেস প্রার্থীকে সিপিএম সমর্থন করলেও, এই কেন্দ্রে আরএসপি আলাদা ভাবে প্রার্থী দাঁড় করায়। জেলার অন্য তিনটি আসনেও লড়াই করে আরএসপি।

এই পরিস্থিতিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হলে আরএসপি কি অবস্থান নেয়, তা নিয়ে কিছুটা হলেও ধন্দে ফ্রন্টের অন্য শরিকদলের জেলা নেতাদের অনেকেই। এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়কে এই কেন্দ্রে জোট এ বার প্রার্থী করবে কিনা, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। কিন্তু জোট হোক বা না হোক, আলিপুরদুয়ারে তাঁরা যে তাঁদের চারটি আসনের কোনওটিই কাউকে ছাড়তে রাজি নন, প্রকাশ্যেই তা জানিয়ে দিতে শুরু করেছেন আরএসপির নেতারা।

আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা আরএসপির রাজ্য কমিটির সদস্য নির্মল দাস বলেন, “১৯৭৭ সাল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা লড়াই করে আসছি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই চারটি কেন্দ্রে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই চারটি আসনের কোনওটিই অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই।” নির্মল দাসের এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও বড় শরিক সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, “এটা নির্মল দাসের ব্যক্তিগত মন্তব্য, নাকি আরএসপি দলের মন্তব্য, তা আগে জানতে হবে। তা ছাড়া, জোট হলে সকলকে কিছু আসন ছাড়তে হবে।” তবে আরএসপির জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন। দলের এক নেতা বলেন, “দলের রাজ্য কমিটির সদস্য হিসাবে নির্মল দাস কিছু বললে অবশ্যই দায়িত্ব নিয়েই বলবেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coochbehar RSP Left front
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy