অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে ফেটে চৌচির কৃষিজমি জলপাইগুড়ি। নিজস্ব চিত্র।
আজ, সোমবার থেকে বৃষ্টি হওয়ার কথা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তবে তার আগের দিন, রবিবার দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহে পরিস্থিতি শিলিগুড়ি ও পাশের শহর জলপাইগুড়িতে। চড়া রোদ ও তীব্র গরমে রীতিমতো হাঁফাঁস করলেন দুই শহরের বাসিন্দারা। দুই শহরের অনেকেরই প্রশ্ন, আজ কি আদৌ দেখা মিলবে বৃষ্টির!
রবিবার দিনভর কার্যত ফাঁকা থাকল শিলিগুড়ির রাস্তাঘাট। তীব্র রোদের জেরে ছুটির দিনের বাজারেও ভিড় কম ছিল বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। এ দিকে, গরম থেকে স্বস্তি পেতে সকাল থেকেই পাহাড়ের নানা এলাকায় ভিড় করেন শহর ও শহরতলির লোকজন। পাহাড়ের ঝরনা ও নদীগুলিতে ব্যাপক ভিড় ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এ দিনও কড়া রোদের জেরে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সে ভাবে কেউও বের হননি। এ দিন শহরের বহু আনাজ, মাছের বাজারে ক্রেতা অনেক কম ছিল। গরমের আনাজ ও মাছ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় বিক্রেতারা। গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। সেই সঙ্গে দামও এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। একটি ডাব ৮০-১০০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে শহরের বহু বাজারে। রাজু শাহ নামে এক বিক্রেতার কথা, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাব আনতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় দাম বাড়ছে।’’
গরম থেকে স্বস্তি পেতে রবিবার সুকনা, রংটং, দুধিয়া, শিবখোলা, কার্শিয়াং-সহ বেশ কিছু জায়গায় ভাল ভিড় ছিল। শিবখোলায় পাহাড়ি নদীতে স্নানের জন্যে উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। দুধিয়াতেও গত কয়েকদিন ধরেই ভিড় হচ্ছে।
অন্য দিকে, এ দিন জলপাইগুড়ি শহরের কিছু মল ছাড়া প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ ছিল তীব্র গরমের জেরে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাস্তায় খুব একটা লোকজন দেখা যায়নি। গরম থেকে স্বস্তি পেতে বড় গাছের তলায় ও নদী পাড়ে সময় কাটালেন অনেকে। জলপাইগুড়ি শহরে কয়েকদিন থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল শহরবাসী। বিকেলে শহরের হাতে গোনা কয়েকটি খাবারের দোকান খুলেছিল। ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্রেতাদের দেখা নেই। সন্ধের পর হাতেগোনা কিছু ক্রেতা এসেছিলেন। ডিবিসি রোড, মার্চেন্ট রোড, কমদতলা, থানা মোড়, স্টেশন রোড, বড় পোস্ট অফিস ছিল প্রায় শুনশান। ডিবিসি রোডের এক কাপড় ব্যবসায়ী দুলাল দাস বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে দোকান
খুললেও ক্রেতা নেই। বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ রেখেছি।’’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ থাকতে গেলে গরমে হালকা খাবার খেতে হবে। দিনের বেলা প্রখর রৌদ্রে বাড়ি থেকে বের না হওয়াই ভাল। যদিও বা বের হতেই হয় তা হলে ছাতা ও ফুলহাতা হাল্কা জামাকাপড় পড়তে হবে। পর্যাপ্ত জল খেতে
হবে মাঝে মাঝে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy