একদিকে রঞ্জন শীল শর্মার বক্তব্য, অন্যদিকে মেয়র মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
অভিযুক্ত এক সাফাই কর্মীকে ওয়ার্ড থেকে তুলে বরোয় কাজ দেওয়ায় দলের বরো চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে বোর্ড সভায় প্রকাশ্যে সরব হলেন তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি রঞ্জন শীলশর্মা। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড সভায় শুধু অভিযোগ তোলাই নয়, ৫ নম্বর বরোর ওই মহিলা চেয়ারপার্সন প্রীতিকণা বিশ্বাস দীর্ঘদিন সিপিএম এবং মহিলা সমিতি করতেন, বড় স্লোগান দিতেন বলেও সরব হন। তা নিয়ে হইচই পড়ে। আচমকা দলের বরো চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে বোর্ড সভায় এ ভাবে প্রশ্ন তোলায়, তাঁকে অপদস্থ করা হচ্ছে দেখে মেয়র গৌতম দেবও চেয়ার ছেড়ে উঠে রঞ্জনের এ ধরনের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তোলেন। মেয়রকে দেখে তৃণমূলের অন্য পুরপ্রতিনিধিরাও উঠে দাঁড়ান, আপত্তি তোলেন।
রঞ্জনের প্রশ্ন নিয়ে বরো চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এই অভিযোগ ঠিক নয়।’’ রঞ্জনের অভিযোগ, তাঁর ওয়ার্ডে ওই সাফাই কর্মী ঠিক মতো কাজ না করায় তিনি বলেছিলেন। ওই কর্মী পরে কাজেও অনুপস্থিত থাকছিলেন। পরে জেনেছেন, পুরপ্রতিনিধিকে এড়িয়ে ওই কর্মীকে বরোর কর্মীদের তালিকায় নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে মাসে অধিকাংশ দিন অনুপস্থিত থাকলেও সে সব নথি বদলে তাঁকে ‘উপস্থিত’ দেখিয়ে মাসের পর মাস বেতন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন এবং কী ভাবে তা করা হল তা নিয়েই বোর্ড সভায় অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি। রঞ্জনের প্রশ্নের উত্তরে সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মাণিক দে বলেন, ‘‘আমিও তা চাইনি। বরো থেকে করা হয়েছে। এটা বেআইনি। এই প্রবণতা ঠিক নয়।’’ শেষে মেয়র বলেন, ‘‘বরোর এই সমস্যা নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করে হবে। সেখানে সমস্যা না মিটলে বোর্ড সভায় আলোচনা করা হবে।’’ এর পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অন্য দিকে, পুজোর মুখে শিলিগুড়ি শহরের রাস্তাঘাটের বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন। তাঁর বক্তব্য সমর্থন করে সিপিএম পুরপ্রতিনিধি মৌসুমী হাজরাও বলেন, ‘‘রাস্তার যা পরিস্থিতি তাতে পুজো মণ্ডপগুলোতে অক্ষত অবস্থায় প্রতিমা যাবে কি না সন্দেহ।’’
তাঁর বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল পুরপ্রতিনিধিরা বাম জমানার নানা কথা বলতে গেলে তা নিয়ে হইচই বাধে। কেন তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি পুরপ্রতিনিধিরা পাল্টা সরব হন। পরে মেয়র বলেন, ‘‘রাস্তার কাজ পুজোর আগেই হবে। অনেক রাস্তার পরিস্থিতি ভাল নয় এটা ঠিক। তবে কোথাও প্রতিমা নিতে সমস্যা হবে না তা নিশ্চিত থাকুন।’’
‘টক-টু-মেয়রে’ পুরপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে কাজ করা নিয়ে অভিযোগ তোলেন সিপিএম পুরপ্রতিনিধি দীপ্ত কর্মকার। অভিযোগ তোলেন অবৈধ নির্মাণ নিয়েও। মেয়র জানান, অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব দিয়েই ওয়ার্ডে কাজ হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy