সাংবাদিক চয়ন সরকারকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে সরব হল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িও। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির পোস্ট অফিস মোড় থেকে জেলা পুলিশ সুপারের দফতর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির রাস্তাতেও মোমবাতি নিয়ে মৌন মিছিল হয়। দুই শহরের সাংবাদিকরাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। দাবি জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের আইজি, জলপাইগুড়ির ডিআইজিকে।
এ দিন সকালে জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের তরফে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তার আগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করে সাংবাদিকরা জলপাইগুড়ির পোস্ট অফিস মোড় থেকে বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে যান। এ দিন সকালে শিলিগুড়িতেও, শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পরে উত্তরবঙ্গের আইজি জ্ঞানবন্ত সিংহের কাছেও একটি স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকেরা। মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমি আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই ওই সাংবাদিক সুস্থ ভাবে ফিরে আসুক।’’
এ দিন বিকেলে সাংবাদিকদের পক্ষে একটি প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়। পরে এসএফআই–ডিওয়াইএফের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে অংশ নেন বাম ছাত্র-যুবরা। একই দাবিতে এ দিন উত্তরকন্যাতেও এসেছিলেন কংগ্রেস বিধায়কদের দল। জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল কমিশনার বরুণ রায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার এবং নাগরাকাটার বিধায়ক যোসেফ মুণ্ডা। দেবপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, ‘‘সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। তাঁর প্রতিনিধি এই ভাবে নিখোঁজ হওয়া মেনে নিতে পারছি না। কারও বিরুদ্ধে খবর করাতেই এই প্রতিশোধমূলক আচরণ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই ও সুস্থ ভাবে ফিরে আসুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy