Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ধসে বিচ্ছিন্ন পাহাড়-সমতল যোগ

টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে ফের বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল সমতল থেকে পাহাড়ের যোগাযোগ। বুধবার রাত থেকে একের পর এক ধসে চারটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

সেবকে ধস সরানোর কাজ চলছে। ছবি:  বিশ্বরূপ বসাক।

সেবকে ধস সরানোর কাজ চলছে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৬ ০২:০১
Share: Save:

টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে ফের বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল সমতল থেকে পাহাড়ের যোগাযোগ। বুধবার রাত থেকে একের পর এক ধসে চারটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং এবং সিকিমের যোগাযোগ। এ দিন সকালে বেশ কয়েক ঘণ্টা সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বৃষ্টি চলতে থাকায় ধস সরানোর কাজে সমস্যা তৈরি হয়। যদিও, পাহাড়-সমতলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বৃষ্টির মধ্যেই কাজে গতি আনার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে এ দিন দুপুরের মধ্যে চারটি রাস্তা দিয়েই যান চলাচল সম্ভব হয়েছে।

এ দিন ভোর রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া সেবকে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সেবক কালীমন্দির লাগোয়া এলাকায় রাস্তা মাটি-পাথর পড়ে বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি চলতে থাকায় সকালেও ঝুরঝুর করে বালি-পাথর পড়েছে। সেবকের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিলিগুড়ির সঙ্গে একদিকে সিকিম, কালিম্পং অন্যদিকে ডুয়ার্সের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের পরে ধস সরিয়ে রাস্তার একদিক দিয়ে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে থাকলে ফের ধসের আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসে বারবার শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে সিকিম-কালিম্পঙের রাস্তা ধসে বন্ধ হয়েছে। ধস সরানোর পরেই ঝুরঝুর করে বালি-পাথর গড়িয়ে পড়েছে পাহাড় থেকে। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে ঘুরপথে কালিম্পঙগামী যানবাহন ঘুরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তবে সিকিমের জোরথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়েছে এ দিন সকালেই।

দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘বর্ষার সময়ে পাহাড়ে ধস চলতেই থাকে। এ দিন ধসের কারণে চারটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ধস সরাতে কোথাও বিআরও কোথাও জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়। দুপুরের মধ্যেই ধস সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’’

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙে যোগাযোগের দু’টি রাস্তাও বুধবার গভীর রাত থেকে ধসের কবলে। কার্শিয়াং থানা এলাকার চিলৌনি ধুরা পাঙ্খাবাড়ি রোডে রাতে ধসের জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে শুরু হয় যানজট। দার্জিলিং যাওয়ার সরাসরি রাস্তা রোহিনী রোডও ধসের কারণে সকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসনের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রোহিনীর রাস্তায় বড় মাপের কোনও ধসের খবর নেই। বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে একটি শৌচাগার ভেঙে ওপর থেকে নীচে রাস্তায় গড়িয়ে পড়ে।

সব মিলিয়ে একের পর এক ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাহাড়-সমতল যোগাযোগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Landslide Plain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE