শিলিগুড়ি মহকুমার রাঙাপানি এলাকার ছোট নির্মল জোতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও একটি মাল গাড়ীর সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলের ছবি। —ফাইল চিত্র।
রাঙাপানি এবং চটেরহাট স্টেশনের মাঝে গত ১৭ জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে দ্বিতীয় দফার তদন্ত আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু করছেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (সিআরএস) জনককুমার গর্গ। রেল সূত্রের খবর, আজ গুয়াহাটিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারা মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির থাকতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মালিগাঁও রেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মনু। তাঁর মানসিক অবসাদের চিকিৎসা চলছে বলে রেল সূত্রের দাবি।
মনু কুমার ছাড়াও দু'দিনে আরও ১২ জন কর্মী-আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সেফটি কমিশনার। কিন্তু হাসপাতালে থাকলে কী ভাবে মনুর জিজ্ঞাসাবাদ হবে? উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘মনু কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডাকা হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখেই নিশ্চয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
মালগাড়ির গার্ড বিকে শর্মা এবং রাঙাপানির সিগন্যাল টেকনিশিয়ান-৩ তপন সিংহকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু সব কিছুর পরেও পুরো তদন্তে মনুকুমারের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রেল। তাই এর আগেও নিউ জলপাইগুড়িতে (এনজেপি) সিআরএসএ-র তদন্ত চলাকালীন মনুকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা হয়। কিন্তু তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকার জন্য চিকিৎসকেরা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন দিতে পারেননি। এত দিন চিকিৎসার পরেও মানসিক অবসাদ কাটছে না কেন?
এ প্রশ্নের অবশ্য জবাব দেননি কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy