দার্জিলিং থেকে নামার পথে বেলাইন টয়ট্রেন। মঙ্গলবার রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
কেন টয় ট্রেনের চাকা লাইন থেকে সরে গেল তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে রেলের অন্দরে। মঙ্গলবার কার্শিয়াঙের কাছে মহানদী এলাকায় লাইনচ্যুত হয় শিলিগুড়িগামী টয় ট্রেন।
দুর্ঘটনার পরে রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। প্রাথমিক পরিদর্শনের পরে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আধিকারিকদের একাংশ দাবি করেন চালক সহ রেলকর্মীদের গাফিলতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে লাইনের ত্রুটি কথা উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। লাইনের ত্রুটি থাকলেও তা কেন আগে নজরে এল না সে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের ইঞ্জিন এবং রেকের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। এবং সে দিক থেকে নজর ঘোরাতেই রেলকর্মীদের গাফিলতির দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই টয় ট্রেনের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির পরিদর্শনে আসার কথা। রেলমন্ত্রীও সে সময় দার্জিলিঙে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই রক্ষণাবেক্ষণের ফাঁকফোকর ঢাকার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গড়েছে রেল। কর্মী-ইঞ্জিনিয়রদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রেল লাইনের উচ্চতায় কিছু পরিবর্তন ঘটে। গত মঙ্গলবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি থাকায় লাইন পিচ্ছিল ছিল। পাহাড় থেকে সমতলে নামার সময়ে ট্রেনের গতি বেড়ে যায়। বাঁক ঘোরার সময় গতি কমানোর জন্য ব্রেক কষতেই ট্রেনের চাকা লাইন থেকে সরে যায়। প্রতিদিন লাইনে নজরদারি হওয়ার কথা রয়েছে রেলে। প্রশ্ন উঠেছে, সেই নজরদারি চললে লাইনে ত্রুটি কেন আগে টের পেল না কর্তৃপক্ষ? সেই সঙ্গে ইঞ্জিন এবং রেকের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রেলের আধিকারিকরা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এস দত্ত বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিন ও রেক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লাইনে যে অংশে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে তাও মেরামত হয়েছে।’’ এ দিন অবশ্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বুধবার এনজেপি থেকে রওনা দিয়ে নিরাপদেই দার্জিলিং পৌঁছেছে টয়ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy