বাধা : স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিক্ষোভের সামনে পুলিশ। ছবি: চিরঞ্জীব দাস
স্কুলের পোশাক তৈরির বরাত বাতিল করে কাটমানি নিয়ে অন্য সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিক্ষোভ-আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জে।
সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকশো মহিলা সদস্য রায়গঞ্জের শিলিগু ড়ি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিদের একাংশ যোগসাজশ করে তাঁদের কাছ থেকে স্কুলপড়ুয়াদের পোশাক তৈরির বরাত কেড়ে নিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের হাতেই ফের বরাত ফেরানো হোক। এ দিন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা তাঁদের পথ অবরোধ তুলে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আন্দোলনকারী মহিলারা নিজেদের দাবিতে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এই পরিস্থিতিতে প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ চলার পর মহিলা পুলিশকর্মীরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জোর করে সরিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে মহিলা পুলিশ কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এরপর মহিলা পুলিশকর্মীরা আন্দোলনকারী মহিলাদের একাংশের উপর লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেন বলে অভিযোগ। পরে আন্দোলনকারী মহিলারা রায়গঞ্জের ব্লক অফিসে গিয়ে বিডিওর কাছে তাঁদের দাবি জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিডিও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ফিরে যান।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক অবরোধ করা বেআইনি। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলেছিল কিনা, তা খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করব।’’
আন্দোলনকারীদের তরফে রায়গঞ্জের মহারাজপুর দেবী স্বনির্ভর মহিলা দলের কার্যকরী সদস্য অঞ্জলি রায়ের দাবি, ২০১৩ সাল থেকে পাওয়া বরাতে রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় চারশো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের একাংশ পড়ুয়াদের জন্য পোশাক তৈরির কাজ করছেন। পরে প্রশাসন সেইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পোশাক তৈরির মজুরি মিটিয়ে দিয়েছে।
অঞ্জলির অভিযোগ, চলতি ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি মহাসঙ্ঘের সদস্যদের একাংশ যোগসাজশ করে একটি বেসরকারি এজেন্সিকে স্কুলপড়ুয়াদের পোশাক কিনে তা প্রশাসনকে সরবরাহের বরাত দিয়েছেন। ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যেরা পোশাক তৈরির দায়িত্ব হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy