কাজ চলছে: যদিও তা কবে শেষ হবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। মালদহে বিমানবন্দর এলাকায়। ছবি: তথাগত সেনশর্মা
ভাঙা সীমানা প্রাচীর। চত্বরে জমেছে বৃষ্টির জল, চরছে গবাদি পশুও। এর মধ্যেই চলছে মালদহ বিমানবন্দরের কাজ। তবে সেই কাজ খুব ধীর গতিতে চলছে বলে দাবি জেলাবাসীর। তাঁদের দাবি, এখনও ৫০ শতাংশ কাজ বাকি। তাই চলতি বছরও বিমানবন্দর চালু নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ফরাক্কা ব্যারেজ সংস্কারের কাজ চলায় নির্মাণ সামগ্রী পেতে সমস্যা হয়, তখন কাজের গতিও কমে। এখন জোরকদমে কাজ চলছে।
ইংরেজবাজার শহর সংলগ্ন বাগবাড়িতে তৈরি হচ্ছে মালদহ বিমানবন্দর। সূত্রের খবর, ১৯৮০ সাল নাগাদ সেটি চালু হয়। তখন সেখানে বিমান পরিষেবাও চালু ছিল বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তৃণমূল সরকার সেটি চালুর উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মালদহ বিমানবন্দরটি অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার। তার পর থেকে রাজ্য সরকার প্রতি বুধবার কলকাতা-বালুরঘাট ভায়া মালদহ সাত আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবাও চালু করে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যাপ্ত যাত্রী না মেলায় এখন তা বন্ধ। আর বাসিন্দাদের দাবি, হেলিকপ্টার পরিষেবা নিয়ে প্রচার না হওয়াতেই এই অবস্থা।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। প্রশাসন সূত্রে খবর, বরাদ্দ হয় ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তার পর থেকে কখনও অর্থের অভাব, কখনও জমি সমস্যা—বারবার আটকে গিয়েছে কাজ। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, পরিকাঠামো উন্নয়নে নতুন করে আরও ১২ একর জমিও কেনা হয়। এখন জমি সমস্যা মিটেছে ঠিকই তবে প্রশ্ন উঠেছে কাজের গতি নিয়ে।
মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কর্মাসের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘এই পরিষেবা চালু হলে জেলার অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে। সরকারের উচিত হেলিকপ্টার পরিষেবা নিয়মিত চালু রাখা।’’
দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, ‘‘কাজ দ্রুত শেষ করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোক মোদক বলেন, “দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy