প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোভিড হাসপাতাল বা সারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারও মৃত্যু হলে তাঁর সৎকার নিয়ে বিপুল টানাপড়েন চলে। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে তাঁর সৎকার নিয়ে বিপুল উত্তেজনা ছড়ায়। সেরকম ঘটনা যাতে জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষেত্রে না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই সৎকারের জায়গা ঠিক করে রাখা হল। জনস্বাস্থ্য দফতরের জেলা চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানান, জলপাইগুড়ির কোভিড বা সারি হাসপাতালে চিকিসাধীন কারও মৃত্যু হলে সেই দেহ সাহুডাঙ্গি শ্মশানে সৎকার করা হবে এবং জলপাইগুড়ি শহরের বাইরে দেহ কবর দেওয়ার জন্য জমির খোঁজ করছে স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার জলপাইগুড়িতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক শেষে এ কথা জানান সৌরভ।
এ দিনের বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, এসজেডিএর চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মণ, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুশান্ত রায়, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক ও সৌরভ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে এই বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বৈঠক করা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে আলিপুরদুয়ার থেকে জেলায় আসেন সৌরভ চক্রবর্তী। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে জলপাইগুড়িতে এসে সৌরভ চক্রবর্তী কী ভাবে বৈঠক করলেন? শাসকদলের নেতারা যা খুশি তাই করতে পারেন। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ শিলিগুড়ি থেকে এসেছিলেন বলে তাঁকে বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে থাকতে বলল প্রশাসন। আর তৃণমূল নেতার বেলায় কিছুই হল না।’’
সৌরভের দাবি, ‘‘নিয়ম মেনেই এসেছি। জেলায় ঢোকার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আলিপুরদুয়ারে ঢোকার আগেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy