দাবি: অটোচালক খুনে দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা মোড়ে ধুন্ধুমার আদিবাসীদের। ছবি: অমিত মোহান্ত
যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে দুই অটো চালকের মারপিটের জেরে কালীচরণ কাছুয়া (৪৫) নামে এক চালকের মৃত্যুতে আদিবাসীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বালুরঘাট। শুক্রবার বিকেলে আদিবাসী সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি হাঁসুয়া, লাঠি ও তিরধনুক নিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে অভিযুক্ত চালকের গ্রেফতারের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন।
ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা অস্ত্র উঁচিয়ে থানামোড় এলাকায় দাপাতে থাকেন বলে অভিযোগ। রাস্তার ধারে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের একাংশকে তেড়ে আসতে দেখে পথচলতি মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে তিনমাথা থানামোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থানামোড়ে যাত্রী তোলা নিয়ে দুই অটো চালকের মধ্যে বচসা থেকে মারামারি হয়। তাতে অভিযুক্তের লাথিতে পেটে আঘাত লেগে কালীচরণ নামে ওই অটোচালক গুরুতর জখম হন। বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে জানানো হয়। মৃতের বাড়ি বোল্লা অঞ্চলের বদ্যিপুর এলাকায়। এ দিন ওই অটো চালকের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তুলে সশস্ত্র আদিবাসীরা দুপুর থেকে চকভৃগু এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন।
আদিবাসী সমন্বয় কমিটির নেতা সুনীল বাঘোয়ার অভিযোগ করেন থানার সামনে অভিযুক্ত অটোচালক মিলন বর্মনের মারে কালীচরণ নিহত হন। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। মিলনকে গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেও পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে একঘণ্টা বাদে উত্তেজনা কমে।
বালুরঘাটের ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘চালকের মৃত্যুতে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযুক্ত অটো চালকের তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy