জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল।
স্কুলের দেওয়া নীল-সাদা পোশাক স্কুলের গেট থেকে বেরিয়েই রাস্তায় ফেলে দিল পড়ুয়ারা। স্কুলের গেটের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক জন প্রাক্তনী। ফেলে দেওয়া পোশাকে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে স্কুলের দেওয়া নীল-সাদা পোশাক। শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের সামনে।
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের পড়ুয়াদের এতদিন সাদা জামা এবং কালো রঙের প্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়ার নিয়ম ছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সে নিয়ম বদলাতে চলেছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। যদিও পড়ুয়াদের একাংশ নীল-সাদা রঙের পোশাক পরতে রাজি নয়। এ দিন সে ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
বৃহস্পতিবার প্রাতঃবিভাগেও পোশাক নিতে অস্বীকার করেছিলেন অভিভাবকেরা। এ দিন স্কুলের দিবা বিভাগে পোশাক বিলি শুরু হয়। সাদা-কালো পোশাক পরে স্কুলে আসা পড়ুয়ারা শিক্ষকদের থেকে নীল-সাদা পোশাক নিলেও, গেট পেরিয়ে বাইরে এসে সেই পোশাক রাস্তায় ফেলে দেয়। নীল-সাদা পোশাক পরবে না বলে স্লোগানও দেয় পড়ুয়াদের একাংশ। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে পড়ুয়াদের নীল-সাদা রঙের পোশাক দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা সেই পোশাক নিয়েছে।”
স্কুল থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো এক পড়ুয়া বলে, “কালো-সাদা পোশাক স্কুলের গর্ব। এই পোশাকই আমরা পরব। শিক্ষকেরা দিয়েছেন বলে নতুন পোশাক নিয়েছি, কিন্তু রাস্তায় নতুন পোশাক ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” আর এক পড়ুয়ার কথায়, “সাদা-কালো পোশাক দেখেই সকলে বুঝতে পারেন, আমরা জেলা স্কুলের ছাত্র। এই পোশাকই পরব।” স্কুলের বাইরে দাঁড়ানো এক প্রাক্তনী বলেন, “আমি কয়েক বছর হল জেলা স্কুল থেকে পাশ করেছি। স্কুলের পড়ুয়ারা নীল-সাদা পোশাক পরতে চায় না বলে আমাদের জানিয়েছে। সে কারণে আমরা এসে প্রতিবাদ করেছি।” এ দিন স্কুলের বাইরে ছিলেন এসএফআইয়ের জনা কয়েক সমর্থকও। এসএফআইয়ের শহর কমিটির সম্পাদক শুভব্রত ভৌমিক বলেন, “ছাত্রেরাই আমাদের জানিয়েছিল, ওরা নীল-সাদা পোশাক পরতে চায় না। তাই আমরা এসেছিলাম।”
স্কুল পোশাকের রং বদল নিয়ে প্রাক্তনীদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সমাজমাধ্যমে এর মধ্যেই সরব হয়েছেন প্রাক্তনীরা। জেলা স্কুলের প্রাক্তনী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ খান বলেন, “কোনও ভাবেই স্কুল পোশাকের রং বদলানোর সিদ্ধান্ত মানছি না। আমরা সংগঠিত ভাবে আন্দোলনে নামব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy