প্রতীকী ছবি।
রাস্তা এতই বেহাল যে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ, আর তার জেরে হচ্ছে যানজট। ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৭ কিলোমিটার পথ পেরোতে সময় লাগার কথা ৩০-৪০ মিনিট। অভিযোগ, বেহাল ওই পথ পার হতে সময় লাগছে দেড় ঘন্টারও বেশি। যানজট হলে তো কথাই নেই।
অভিযোগ, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে চাঁচল হয়ে সামসি শম্ভুনগর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার রাস্তার এমন অবস্থা যে দেখলে মনে হয় চষা খেত। রাস্তার বহু জায়গায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। বৃষ্টি হলে জলে-কাদায় ভরে রাস্তা। রাস্তা দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশও।
এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তার একাধিক জায়গায় কার্যত মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল থেকে জেলা সদর মালদহে পৌঁছতে নাভিশ্বাস উঠছে। সামনেই পুজো। কিন্তু রাস্তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।
পূর্ত দফতরের অধীন সাত নম্বর জাতীয় সড়ক দফতরের মালদহের নির্বাহী বাস্তুকার জগন্নাথ সামন্ত বলেন, ‘‘রাস্তার বেহাল অংশ সংস্কারের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে তা ফের বেহাল হয়ে পড়েছে। পুজোর আগে যাতে ফের রাস্তা সংস্কার করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।’’
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামসি শম্ভুনগর থেকে চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর হয়ে কাটিহার পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন, জমি অধিগ্রহণ ঘিরে সমস্যায় বারবারই কাজ ব্যাহত হওয়ায় দু’বছরেও নতুন রাস্তার কাজ তেমন এগোয়নি। তার জেরে পুরনো জাতীয় সড়ক দিয়ে এখনও যাতায়াত চলছে। যানবাহন যাতায়াতের জেরে রাস্তা বেহাল হবেই। কিন্তু পুরনো রাস্তার জন্য পৃথক বরাদ্দ নেই। তবু নতুন রাস্তার ঠিকাদারকে দিয়ে পুরনো রাস্তাটি কাজ চালানোর মতো সংস্কার করতে ফের তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন।
নিত্যযাত্রী ও যানচালকদের সূত্রে জানা যায়, চাঁচল শহরের ভিতরেই জাতীয় সড়ক একাধিক জায়গায় বেহাল। বীরস্থল, মালতীপুর, রানিকামাত, গোবিন্দপাড়া, কনুয়ার মতো একাধিক জায়গায় এমন বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে রাস্তার প্রায় অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।
চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণপোগাল পোদ্দার বলেন, ‘‘বেহাল রাস্তার জন্য মালদহে যাওয়া আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা না হলে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy