বিপর্যয়: পার্বত্যা গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় মৃতদের শোকার্ত পরিবার। ছবি: অভিজিৎ সাহা
পুকুর থেকে জাল চুরির অভিযোগ ঘিরে প্রতিবেশিদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হলেন দুই ভাই। আহত দু’পক্ষের চার জন। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদহের ইংরেজবাজার থানার যদুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্বত্যা গ্রামে। সে দিন রাতেই পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম ফুলচাঁদ ঘোষ (৩২) ও অর্জুন ঘোষ (২৮)। ফুলচাঁদের পিসতুতো ভাই অর্জুন। তাঁরা দু’জনই শ্রমিকের কাজ করতেন। ফুলচাঁদের চার এবং অর্জুনের তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্জুনের ভাই ভীমও। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অভিযুক্ত রাজেশ রায়, তাপস রায় এবং বলাই রায়। তাঁরা ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “পুকুরের চারপাশে ঘেরা জাল চুরির ঘটনা ঘিরে বিবাদ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে সাড়ে পাঁচ বিঘার পুকুর রয়েছে। সেটি পাহারা দেন রাজেশ। বর্ষায় পুকুরের জল উপচে পড়েছে। মাছ যাতে বাইরে বেরিয়ে না যায়, সে জন্য পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। সেই জাল চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, জাল চুরি নিয়ে ফুলচাঁদের আত্মীয় উত্তমকে সন্দেহ করেন রাজেশ। আর তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তা থেকে হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, হাঁসুয়া, ভোজালি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ঘটনায় আহত হন দু’পক্ষের ছ’জন। রাতেই তাঁদের গ্রামবাসীরা নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ফুলচাঁদ ও অর্জুনের। অর্জুনের স্ত্রী টিঙ্কু বলেন, “পুকুরের জাল চুরির ঘটনার মীমাংসা করা হবে বলে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় রাজেশ। ও-ই দলবল নিয়ে আমার স্বামীকে খুন করেছে।” ঘটনায় আহত রাজেশ, বলাই, তাপস এবং আরও পাঁচ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। ফুলচাঁদের স্ত্রী বিশাখা বলেন, “সন্দেহের জেরেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy