Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
মিনি জু-তে পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ

কড়াকড়ি মুখেই, রসিক বিলে প্লাস্টিক-আবর্জনা বাড়ছে

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রসিকবিল এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে মাঝেমধ্যে বিশেষ অভিযানও চালান হচ্ছে। তারপরেও মূলত কর্মী সংখ্যা কম থাকার সুযোগ নিয়ে পর্যটকদের অনেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ মিলেছে।

সচেতনতা: রসিকবিল এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত করতে অনেকবারই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। তবুও হয়নি কোনও কাজ। ফাইল চিত্র

সচেতনতা: রসিকবিল এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত করতে অনেকবারই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। তবুও হয়নি কোনও কাজ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রসিকবিল শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ১২:৫০
Share: Save:

কড়াকড়িই সার। রসিক বিল মিনি জু চত্বরে প্লাস্টিকের ব্যবহার চলছেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পরিবেশপ্রেমী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পর্যটকদের একাংশ নজরদারির খামতির সুযোগ নিয়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে মিনি জু চত্বরে অবাধে ঢুকে পড়ছেন। খাবারের প্যাকেট থেকে পানীয় জলের বোতল মুড়ে নেওয়া ওই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কিছু প্লাস্টিক বন্যপ্রাণীদের ডেরাতেও উড়ে যাচ্ছে।

কিছু আবার রসিকবিলের জলাশয়ের তলদেশে জমা হচ্ছে। অথচ ওই প্রবণতা বন্ধের ব্যাপারে কাজের কাজ কিছু হয়নি। কোচবিহারের ডিএফও বিমান বিশ্বাস বলেন, “গোটা রসিকবিল এলাকা প্লাস্টিক মুক্ত রাখার ব্যাপারে সাধ্য মতো চেষ্টা হচ্ছে। নজরদারিও রয়েছে। সেখানে সিসিটিভি বসিয়ে নজর রাখার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।’’

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রসিকবিল এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে মাঝেমধ্যে বিশেষ অভিযানও চালান হচ্ছে। তারপরেও মূলত কর্মী সংখ্যা কম থাকার সুযোগ নিয়ে পর্যটকদের অনেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। তার জেরেই যাতায়াতের মূল প্রবেশ ফটক সহ বন্যপ্রাণীদের ডেরার সামনের এলাকাগুলোতে সিসিটিভিতে নজর রাখার ভাবনা শুরু হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘অনেক সময় এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন মিনি জু চত্বরে ঢুকে পড়েন। তাদের সকলকে আলাদা করে নজর রাখায় সমস্যা হয়। তা ছাড়া, পর্যটকেরা বেশিরভাগ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ঘেরাটোপের সামনে সময় কাটান। তাই ওই এলাকাগুলি সিসিটিভির আওতায় আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এটা হলে অনেকেই ঝুঁকি নেবেন না।’’

বন দফতর সূত্রের খবর, রসিকবিলের জলাশয়ে পরিযায়ী পাখির আনাগোনাকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে মিনি জু তৈরি হয়েছে। চিতাবাঘ, হরিণ, ঘড়িয়াল, পাইথন উদ্ধার কেন্দ্র পর্যটকদের টানছে। শীতের মরসুমে পরিযায়ীদের টান থেকে পিকনিক করতেও উৎসাহীদের ভিড় ফি বছর সেখানে উপচে পড়ে।

তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “ওই এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে আমরাও বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযানে নামছি।” পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগুপের কর্তা অরুপ গুহ বলেন, “বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা উচিত।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy