বিপজ্জনক: জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতাল চত্বরে পোড়ানো হচ্ছে মেডিক্যাল বর্জ্য। ছবি: সন্দীপ পাল।
জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতাল চত্বরে মেডিক্যাল বর্জ্য পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। পাশেই রয়েছেন চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। বর্জ্যের গন্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন বেশ কয়েক জন রোগী। এই ধোঁয়া থেকে করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বলে অভিযোগ।
দীপাবলি ও মহালয়ার সময় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা হাত জোড় করে আবেদন করেছিলেন, কেউ যেন বাজি না পোড়ায়। কারণ বারুদ পোড়ানোর ধোঁয়া শুধু বিষাক্তই নয়, করোনা আক্রান্তদের পক্ষে বিপজ্জনক। হাইকোর্টও বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সাধারণ মানুষ তাতে সায় দিয়েই পটকা ফাটানো তো দূর, আতশবাজিও জ্বালাননি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কোভিড হাসপাতাল চত্বরেই মেডিক্যাল আবর্জনা পোড়ানো হচ্ছে, যে ধোঁয় আক্রান্ত এবং সদ্য সুস্থদের পক্ষ অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার পরে বাতিল প্লাস্টিক, স্যালাইন বোতল, ইনজেকশন, ওষুধ ইত্যাদি ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে। অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খোলা আকাশের নীচে পোড়ানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক করোনা আক্রান্ত টেলিফোনে বলেন, ‘‘প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। হাসপাতাল চত্বরে বর্জ্য পোড়ানো শুরু হলে আমরা বাধ্য হয়ে জানালা বন্ধ করে দু'স্তরের মাস্ক পরে বসেছিলাম।’’ হাসপাতালের ঢিল ছোড়া দুরত্বে থাকা বাসিন্দাদের দাবি দুপুরের দিকে পোড়া গন্ধ বের হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কাকলি রায় বলেন, ‘‘এই ধরনের মেডিক্যাল বর্জ্য খোলা আকাশের নীচে পোড়ালে এর পর থেকে আমরা প্রতিবাদে নামব। আমাদের বাড়িতে বয়স্ক ও শিশুরা আছে। তাদের অসুবিধা হয়েছে।’’ হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে মেডিক্যালের বর্জ্য পোড়ানোর কথা নয়। কে পোড়াল এই বর্জ্য, খতিয়ে দেখে আর যেন এই ধরনের বর্জ্য এই ভাবে না পোড়ানো হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy