Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

পদ্ম-ঘাসফুল দ্বন্দ্বে ভাঙচুর

ঘটনার জেরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধুর হাট ও বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের বাড়িঘর দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শীতলখুচি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০৪
Share: Save:

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শীতলখুচি ব্লকের ভাওয়ার থানা এলাকা। বৃহস্পতিবার দফায় দফায় সংঘর্ষে বাড়ি, ঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই সংঘর্ষে দু’দলের প্রায় ২৫টি বাড়ি এবং ৬টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালতী পালের বাড়িও ভাঙচুর করা হয় এবং ভাওয়ার থানা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সহ দু’জনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় গাছ ফেলে রাস্তা আটক করা হয়েছে। এর পর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকা উত্তপ্ত রয়েছে।

ঘটনার জেরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধুর হাট ও বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের বাড়িঘর দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে সিপিএমের চার কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

তৃণমূল নেতা সাহের আলি বলেন, মঙ্গলবার তাঁরা ভাওয়ার থানা এলাকায় মিছিল করেন। তাঁর দাবি, ‘‘মিছিলের শেষে আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেন বিজেপির কর্মীরা। বুধবার আমাদের কর্মীদের ৪টি বাড়ি ভাঙচুর করেন বিজেপির কর্মীরা। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রজিনা বৈরাগীর স্বামী রামচন্দ্র সরকারকে অপহরণ করে বিজেপির কর্মীরা।’’ তবে এর পর ভাওয়ার থানা এলাকায় সাধুর হাটে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তবে তৃণমূলের দাবি, তারা বিজেপির উপরে আক্রমণ করেনি। যা ভাঙচুর হয়েছে, তা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে।

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘এ দিন সকালে ভাওয়ার থানা বাজারে আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করে তৃণমূল। সেখানে দোকান পাট ভাঙচুর করে মোটরবাইক নিয়ে যায় তারা। দোকান পাট লুঠ করে এবং কয়েক জনকে মারধোর করে।’’

তাঁর দাবি, এর পর সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, বাড়ির মহিলারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। বাড়িতে আগুন দাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেবার জন্য তাঁরাই আগুন লাগিয়ে ঘটনার মোড় অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বোমাবাজিও করা হয়েছে। জনরোষের ফলেই এই ঘটনা। আমাদের কর্মীরা কোনও বাড়িঘর ভাঙচুর করেননি।’’

হেমচন্দ্র বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে ভয়ে বাইরে ছিলেন, তাই তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে শীতলখুচি ব্লকে এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষ চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Violence TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy