Advertisement
০৯ জানুয়ারি ২০২৫

গাজল-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বদলি

পুকুরিয়া কাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল গাজল কাণ্ডে। অভিযোগ না নিয়ে মহিলাকে ফেরানোর দায়ে সরানো হল গাজল থানার এএসআই ভূপেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। শুক্রবার মালদহ জেলা পুলিশ ওই অফিসারকে গাজল থেকে বদলি করেছে মানিকচকের ভুতনি ফাঁড়িতে। অভিযোগ, গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে সপরিবারে থানায় যান এক নির্যাতিতা মহিলা। সেই সময় ডিউটি অফিসার ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। অভিযোগ না নিয়ে উল্টে গ্রামে সালিশি করার পরামর্শ দেন ওই অফিসার বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০২:১২
Share: Save:

পুকুরিয়া কাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল গাজল কাণ্ডে। অভিযোগ না নিয়ে মহিলাকে ফেরানোর দায়ে সরানো হল গাজল থানার এএসআই ভূপেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। শুক্রবার মালদহ জেলা পুলিশ ওই অফিসারকে গাজল থেকে বদলি করেছে মানিকচকের ভুতনি ফাঁড়িতে। অভিযোগ, গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে সপরিবারে থানায় যান এক নির্যাতিতা মহিলা। সেই সময় ডিউটি অফিসার ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। অভিযোগ না নিয়ে উল্টে গ্রামে সালিশি করার পরামর্শ দেন ওই অফিসার বলে অভিযোগ।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। শুরু হয় ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ মেলায় এ দিন তাঁকে বদলি করার সিন্ধান্ত নেন জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তবে অভিযোগ না নিয়ে সালিশির নিদান দেওয়ার অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি।’’

অভিযোগ না নেওয়ার দায়ে পুলিশ অফিসারকে সরানো হলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্তেরা। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।’’

কি হয়েছিল গাজল ও পুকুরিয়ায়। অভিযোগ গত ১০ মে বাড়িতে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে চার যুবক মিলে গণধর্ষণ করে। আরও দুই যুবক ওই মহিলার বৃদ্ধা মায়ের গলায় হাঁসুয়া ধরে রাখে। ঘটনার পর দিন ১১ মে ওই মহিলা সপরিবারে গাজল থানায় অভিযোগ জানাতে যান। সেই সময় দায়িত্বে থাকা অফিসার ভূপেন্দ্রনাথ অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেন তাঁদের।

সাত মাস আগে রতুয়ার পুকুরিয়াতেও এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। মহিলা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে সালিশি করে মিটিয়ে নেয়। সালিশিতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওই থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ সরকার। এর পরেই অভিযুক্ত যুবক রিন্টু শেখ ওই মহিলার বাবার ডান চোখে লোহার রড চোখে ঢুকিয়ে দেয়। পরে চাপে পড়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। বিভাগীয় তদন্তের পর সরানো হয় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ সরকারকে। তাঁকে থার্ড অফিসার করে পাঠানো হয় কালিয়াচক থানায়।

অন্য বিষয়গুলি:

police staff transfered gajol incident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy