খুদে কালী বানাতে ব্যস্ত খুদে শিল্পী। বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত
শব্দবাজি, আতশবাজি বিক্রি রুখতে মাইকিং-এর পাশাপাশি লাগাতার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তারপরেও কালী পুজোর ২৪ ঘণ্টা আগে শুক্রবার মালদহের গ্রামীণ এলাকায় উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। এ দিনই জেলায় প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি গ্রামীণ এলাকায় কী ভাবে পৌঁছল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও ধরপাকড় চলবেই বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন জেলায় উদ্ধার হয়েছে ৪৪০ কেজি বাজি। যার বাজার দর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার হয়েছে একাধিক কারবারি। মালদহের ৯টি থানায় এ দিন অভিযান করে লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি উদ্ধার হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “সপ্তাহ খানেক ধরে জেলা জুড়েই বাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। ধরপাকড়ও করা হয়েছে। এ দিন প্রচুর পরিমাণে বাজি উদ্ধার হয়েছে।” কন্ট্রোলরুমও খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথাও বাজি বিক্রি বা ফাটলে আমাদের কন্ট্রোলরুমের নম্বরে ফোন করতে পারেন। কন্ট্রোলরুমের নম্বর সামাজিক মাধ্যমেও দেওয়া হয়েছে।”
ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, পুজোর পরেই দোকানে দোকানে মজুত করা হয়েছিল বাজি। সেই বাজি এক বছর রেখে দিলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আড়ালে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া শহর এলাকার বাজারগুলিতে পুলিশের নজরদারি বেশি থাকে বলে গ্রামীণ এলাকায় বাজিগুলি পাঠানো হয় জানিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেই বিক্রি করা হয়েছে বাজি।
পুলিশের নজরদারিতে গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। মালদহের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, “পুলিশ আগে থেকে তৎপর হলে আরও বাজি উদ্ধার হত। আমরা চাই পুলিশ কালীপুজোর রাতে তৎপর হোক।” ইংরেজবাজার থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, “সাদা পোশাকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy