Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বেতনের টাকায় উপহার সান্তার

লাল ঢোলা জোব্বার মতো পোশাক৷ লাল টুপি৷ সাদা দাড়ি৷ সকাল থেকেই রাস্তায় সান্তা ক্লজ৷ যেখানে কচি-কাচাদের পাচ্ছেন, সেখানেই তাদের সঙ্গে আনন্দে মিশে যাচ্ছেন৷ ঝোলা থেকে বের করে দিচ্ছেন উপহারও৷

স্কুলপড়ুয়া খুদেদের সঙ্গে সান্তার বেশে পুলিশকর্মী কিংশুক বর্মা। জলপাইগুড়িতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

স্কুলপড়ুয়া খুদেদের সঙ্গে সান্তার বেশে পুলিশকর্মী কিংশুক বর্মা। জলপাইগুড়িতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৬
Share: Save:

লাল ঢোলা জোব্বার মতো পোশাক৷ লাল টুপি৷ সাদা দাড়ি৷ সকাল থেকেই রাস্তায় সান্তা ক্লজ৷ যেখানে কচি-কাচাদের পাচ্ছেন, সেখানেই তাদের সঙ্গে আনন্দে মিশে যাচ্ছেন৷ ঝোলা থেকে বের করে দিচ্ছেন উপহারও৷

বড়দিন কাছে আসতেই ঠিক এ ভাবেই জলপাইগুড়িতে আবির্ভাব হল সান্তা ক্লজের।

আসলে এই দিনটার জন্যই বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন পেশায় রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল কিংশুক বর্মা৷ প্রতি মাসে পাওয়া মাইনে থেকে কিছু টাকা আলাদাও করে রাখেন তিনি৷ যাতে বড়দিনের আগে ছোটদের জন্য উপহার কিনতে পারেন৷ আর বড়দিন কাছে আসতেই কাজের ফাঁকে নিজেই সান্তা সেজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন কিংশুকবাবু৷ ছোটদের স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন হোমে ও অনাথ আশ্রমে ঘুরে বেড়ান৷

শিলিগুড়ির শিব মন্দির এলাকার বাসিন্দা কিংশুকবাবু ১৯৯৬ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন৷ প্রথম পোস্টিং ছিল রায়গঞ্জে৷ সেখান থেকে ২০০৭ সালে জলপাইগুড়িতে বদলি হন৷ এক সময় শিলিগুড়ির বড় বড় ক্লাবে চুটিয়ে ফুটবলও খেলেছেন৷ কিংশুকবাবুর কথায়, “খেলার মাঠের সূত্রেই ছোট ছোট অনেক ছেলে-মেয়ের সঙ্গে রোজ দেখা হত৷ ওদের একটু আনন্দ দিতে পারলে খুব ভাল লাগত৷ আর সেই ভাল লাগা থেকেই বড়দিনের বিষয়টা আমার মাথায় আসে৷ রায়গঞ্জে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই বড়দিনের আগে সান্তা ক্লজ সাজতে শুরু করি৷ জলপাইগুড়িতে এসেও তা করে যাচ্ছি৷”

শিবমন্দিরে কিংশুকবাবুর বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছেন৷ কিংশুকবাবুর কথায়, ‘‘আমার স্ত্রী-ও এ ব্যাপারে আমায় খুব উৎসাহ দেন৷ আর তাই প্রতি মাসে মাইনে পেলেই বড় দিনের উপহার কেনার জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রেখে দেই৷’’

বড়দিনের আগে সান্তা ক্লজকে পেয়ে খুশি জলপাইগুড়ির কচি-কাচারাও৷ পূর্বাঞ্চল হাই স্কুলের ছাত্রী রিম্পা রায় বা কল্যাণ বসাকদের কথায়, “সান্তা ক্লজের গল্প অনেক শুনেছি৷ কিন্তু এ দিন আচমকাই স্কুল যাওয়ার পথে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল৷ ঝোলা থেকে আমাদের চকলেট উপহারও দিলেন৷ তারপর আমরা একসঙ্গে ছবিও তুললাম৷ খুব আনন্দ হচ্ছে৷” যা শুনে কিংশুকবাবু বলছেন, “বড়দিনের আগে ছোটদের এ ভাবেই আমি আনন্দ দিয়ে যেতে চাই ৷”

অন্য বিষয়গুলি:

santa claus Christmas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE