চুরির অভিযোগে সাসপেন্ড ৩ পুলিশকর্মী। নিজস্ব চিত্র।
রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে ওঠে? পুলিশ নিজেই যদি ডাকাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়? শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এ রকমই এক ঘটনা ঘটেছে মালদহে। ডাকাতির অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। এই ঘটনার জেরে তিন জন পুলিশ কর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মালদহের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার পুলিশ মহলেও।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদহের কালিয়াচকের ৫২ বিঘা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ উঠেছে যে, কালিয়াচক থানার এক দল পুলিশ শ্রমিক সরবরাহকারী মহম্মদ এসরাউলের বাড়িতে লুঠপাট চালান। এসরাউলের অভিযোগ, বাড়িতে রাখা প্রায় ৩৪ ভরি সোনা ও শ্রমিকদের পাওনা হিসেবে রাখা ২৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালান অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। শুধু তাই নয়, বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, এমনকি মারধরও করা হয়।
এসরাউল আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ না থাকার পরও পুলিশ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছেন এসরাউলের পুরো পরিবার। পুলিশের এই কাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই ঘটনায় মালদহ পুলিশের প্রশাসনিক কর্তারাও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন।
কালিয়াচক থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) আনিস সরকার জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক তদন্ত চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় এএসআই পীযূষ মণ্ডল, কনস্টেবল রাজকুমার ঘোষ এবং কনস্টেবল আশীষ দে-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy