প্রতীকী চিত্র
এবার দুই মিছিলের টক্কর। কাল, সোমবার কোচবিহারে বিজেপির মহামিছিল শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ‘বইয়ের জন্য হাঁটুন’ পদযাত্রা শুরু হবে। বইয়ের মিছিলে হাঁটবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দনাথ ঘোষ। আর বিজেপির মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বিজেপির তিন সাংসদও থাকবেন মিছিলে। ওই দুই মিছিলকে ঘিরে ঘুম উবে গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের।
মন্ত্রী রবীন্দনাথের দাবি, প্রয়োজনে কর্মসূচি পরিবর্তন করুক বিজেপি। না হলে বইমেলার উপরে চাপ হবে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কর্মসূচি আগাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন করে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। অনুমতি না দিলেও মিছিল হবে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ন বলেন, “রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচির জন্য আবেদন করা হয়নি।”
শনিবার জেলাশাসকের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে রবীন্দনাথ জানান, রাসমেলার মাঠে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বইমেলা শুরু হবে। ওই মেলা চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রথমদিন দুপুর ২টো নাগাদ বইয়ের জন্য পদযাত্রা শুরু হবে। সাগরদিঘি পাড় শহিদবাগ থেকে ওই পদযাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে রাসমেলার মাঠে গিয়ে। সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার উদ্বোধন হবে। বইমেলার মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও, আর এক মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের থাকার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে জেলার সাংসদ বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিককে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। নিশীথ ওইদিন থাকবেন বিজেপির মিছিলে। স্বাভাবিক ভাবেই দু’পক্ষের মধ্যে ওই বিষয় নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছে।
ওই দিনই বেলা ১টা থেকে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর ওই মিছিলে রেকর্ড ভিড়ের টার্গেট রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেজন্য রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকেও মিছিলে হাজির করানো হবে।
মিছিল ১টার সময় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা কিছুটা দেরি হবে ধরেই নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পদযাত্রা ও মিছিলের সময় প্রায় এক হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির মিছিল কোচবিহার জেলা পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে রাসমেলার মাঠের সামনে দিয়েই যাওয়ার কথা। পার্টি অফিস ও রাসমেলার দূরত্বও খুব বেশি নয়। সেক্ষেত্রে যানজট তৈরির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বারে বারে আমাদের কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে। এবারেও তা হয়েছে। তবে আমরা কোনও অনুষ্ঠানের বিপক্ষে নই। বইমেলা বইমেলার মতো হবে। আমরা আমাদের মিছিল করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy