প্রতীকী ছবি।
ধনিরামপুরের সরুগ্রামে নাবালিকা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের সন্ধানে জোরালো সূত্রে মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ঘটনায় শনিবার এলাকারই এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তিই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কি না তা রাত পর্যন্ত পুলিশের তরফে সরাসরি স্বীকার করা হয়নি। তবে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, মূল অপরাধী চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। এ দিন নিহত নাবালিকার বাড়িতে যান রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনিও আশা প্রকাশ করেন, এই ঘটনায় আসল অপরাধী দ্রুত গ্রেফতার হবে।
সোমবার, নবমীর সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে পুজো মণ্ডপে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল দশ বছরের ওই নাবালিকা। পরদিন দশমীর সকালে সেই মণ্ডপ থেকে খানিকটা দূরে একটি সেচখালের সামনে থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার বাবা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। যে অভিযোগে স্থানীয় তিন যুবক, যারা সম্পর্কে ভাই, তাদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। একজনকে সেদিনই গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যদিও নাবালিকা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে আসল অপরাধী এখনও পর্যন্ত তাদের জালে ধরা পড়েছে কি না তা নিয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি জেলার পুলিশ কর্তারা। নাবালিকা খুনের ঘটনার পরই এই ঘটনার তদন্তে সিট বা একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের এক সদস্যের কথায়, নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবারই এফআইআর-এ নাম থাকা একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে আরও বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন এফআইআরে নাম না থাকা একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এবং তদন্তে আরও কিছু নাম উঠে আসায় তাদের খোঁজেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও এ দিন বলেন, “ধনিরামপুরের ঘটনার তদন্ত খুব ভালভাবে এগচ্ছে। আসল অপরাধীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হবে।”
এ দিন সন্ধ্যায় নাবালিকার বাড়িতে যান রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা, সভাধিপতি শীলা দাস সরকার-সহ অন্যরা। পর্যটনমন্ত্রী নাবালিকার বাবা-মা ও আত্মীয়দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। নাবালিকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা নাবালিকার বাড়িতে এসেছি। উৎসবের আবহে এমন একটা নৃশংস ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মর্মাহত। তিনি নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন। পুলিশ সঠিক পথেই তদন্ত চালাচ্ছে। মূল অপরাধী দ্রুত গ্রেফতার হবে বলে আমরা নিশ্চিত।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানান, এ দিন দলের তরফে ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। এ দিন দুপুরে ওই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়িতে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষেও পর্যটনমন্ত্রী জানান, অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেফতার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy