প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার বয়ান রেকর্ড করতে থানায় ডেকে তার মাকে দিয়ে সাদা কাগজে টিপ ছাপ নেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে। নাবালিকার মায়ের দাবি, শুধু তাই নয়, তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে হাসপাতাল থেকে এনে সারা দিন থানায় বসিয়ে রেখে শেষে রাস্তায় ছেড়ে দেয় মহিলা থানার লোকজন। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা বিহারের লোক, শিলিগুড়ির কিছু চেনেন না। উপরন্তু মেয়ে অসুস্থ। রাতে রাস্তায় কাটাতে হয় তাঁদের। মেয়ের যৌনাঙ্গ থেকে ফের রক্তপাত শুরু হয় বলেও অভিযোগ। সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করাতে হয়। নাবালিকার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। পুলিশের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা কমিশনে যাচ্ছে দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরাম। পুলিশ সূত্রে এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করা হয়েছে, সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। আত্মীয়দের ডেকেই মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে ছাড়া হয়।
বিহারের এক নাবলিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে দুই অভিযুক্ত। গত ২৬ জুন ওই ঘটনার পর পুলিশকে না জানিয়েই মেয়েটিকে একটি হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে মহিলা থানার পুলিশ জানতে পেরে ২ জুলাই মেয়েটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করায়। পরে ৬ জুলাই মেয়েটিকে পুলিশের উপস্থিতিতে ছুটি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিন সন্ধেয় মহিলা থানায় তার বয়ান রেকর্ড করার জন্য তাকে এবং তার মাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখে। মেয়েটির মায়ের দাবি, ‘‘পুলিশই মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে হাসপাতাল থেকে। আমরা শিলিগুড়ির রাস্তাঘাট চিনি না। মোবাইলেও পয়সা ছিল না। থানা থেকে সাদা কাগজে টিপ ছাপ দিয়ে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয় রাস্তায়। তার পর সারারাত ঘুরে বৃষ্টিতে অন্য এক জনের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছি। রাস্তার লোকের কাছে খাবার চেয়ে খেয়েছি।’’ সোমবার ভোরে আত্মীয়েরা অসুস্থ মেয়েটিকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও দুপুর পর্যন্ত নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘ডাক্তার মনে না করলে পুলিশের কথায় কাউকে ছাড়া হয় না। আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকলে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। মেয়েটিকে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।’’
ঘটনাকে ‘অমানবিক’ বলেই দাবি করছে দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, ‘‘আমরা শিশু সুরক্ষা কমিশনে জানাব।’’ যদিও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘মেয়েটিকে মায়ের সঙ্গে ছাড়ার পরে মোবাইলে পুলিশই টাকা ভরিয়ে দেয়। সোমবার হাসপাতালে ভর্তির জন্য পুলিশই ফোন করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy