প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) প্ল্যাটফর্মের ভিতরে বেআইনি ভাবে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ ছিল। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে সরে গিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। আদালতের রায়ের পরে এনজেপি স্টেশন চত্বর থেকেও ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার নোটিস দেওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই। যদিও তা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর। জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরে আসার কথা। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এনজেপি-পটনা বন্দে ভারত চালানোর মহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ওই দুটি কর্মসূচির আগে, কোনও ঝামেলা চাইছে না রেল। যদিও এনজেপি স্টেশন চত্বর থেকে ‘উচ্ছেদ-বিরোধী’ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল।
এনজেপি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৪৫টি স্টল সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার পরে ব্যবসায়ীরা নিজেই মালপত্র সরিয়ে নেন। জলপাইগুড়িতেও রেলের জায়গায় বসবাসকারী ব্যবসায়ীদের নোটিস দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এনজেপিতে বিশ্ব মানের স্টেশন তৈরির কাজের জন্য স্টেশন চত্বর খালি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতর সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের মধ্যেই স্টেশন চত্বরে থাকা ব্যবসায়ীদেরও নোটিস দেওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে দু’টি কারণে।
কাটিহার ডিভিশনের এক রেল আধিকারিক বলেন, ‘‘আজ হোক বা কাল, স্টেশন চত্বর খালি করে দিতেই হবে ব্যবসায়ীদের। যদিও আদালতের নির্দেশ ছাড়া, স্টেশন চত্বর থেকে ব্যবসায়ীরা নড়বেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের এক জোট করে আন্দোলনে আমার প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল। আইএনটিটিইউসির শিলিগুড়ি তিন নম্বর টাউন সভাপতি সুজয় সরকার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া, রেল নোটিস করলে আমাদের পাল্টা আন্দোলনে নামতে হবে। আমরা সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’’ সূত্রের দাবি, জানুয়ারির শুরুতে এনজেপিতে উচ্ছেদ-প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে পারে রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy