মূল্যবৃদ্ধি: ১০০ টাকা ছিল বালুরঘাটে পেট্রলের দাম। ( নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের পর এ বার দক্ষিণ দিনাজপুর। পেট্রলের দর রবিবার পার করল সেঞ্চুরি। বালুরঘাট শহরের একটি পাম্পে এ দিন থেকেই ১০০ টাকা ২ পয়সা দরে বিক্রি হয় পেট্রল। তা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে পাম্প মালিকদেরও। কারণ গত দু’মাসে বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। গ্রামীণ এলাকায় ধুঁকছে কয়েকটি পাম্প। ডিজ়েলের দর এ দিন কয়েকটি পাম্পে বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। তার জেরে সিংহভাগ বাস চলছে না জেলায়।
মহার্ঘ জ্বালানি কিনতে আগে যে পরিমাণ লাইন পড়ত, লকডাউনের জন্য সেই চাহিদা কমেছে। এখন পেট্রলের দর বাড়ায় অনেকেই এসে বরাদ্দের চেয়ে কম তেল ভরাচ্ছেন গাড়িতে, বাইকে। ফলে এখানেও শুরু হয়েছে বাঁচিয়ে চলার প্রবণতা। বালুরঘাট বিশ্বাসপাড়া মোড়ের কাছে একটি পাম্পের মালিক প্রণবকুমার বণিক বলেন, ‘‘আমরা খুবই চিন্তায় রয়েছি। গ্রাহক ক্রমাগত কমছে। কর্মীদের নিয়ে চলতে হয় আমাদের। কী ভাবে কী চলবে বুঝতে পারছি না।’’ মালদহ থেকে আইওসির ট্যাঙ্কার থেকে তেল সরবরাহ হয় বালুরঘাটে। ওই পাম্পটির দূরত্বের উপর নির্ভর করেই জ্বালানির দর বেড়েছে বলে জানান মালিকপক্ষ।
জেলার অন্যান্য পাম্পে অবশ্য এখনও ৯৯ টাকার মধ্যেই রয়েছে দর। সেগুলিও যে কোনও দিন পার করতে পারে একশোর কাঁটা। জেলা পাম্প মালিক সংগঠনের নেতা গৌতম সরকারের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের বসিয়ে দিতে হয়েছে। তা ছাড়াও অন্তত ৬টি গ্রামীণ পাম্পে তেল বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কামারপাড়ার বাসিন্দা পেশায় সেলস কর্মী চন্দন বর্মণ বালুরঘাট থেকেই বাইকে তেল ভরান। তাঁর কথায়, ‘‘আগে অন্য অনেক কাজ বাইকে সেরে নিতে পারতাম। এখন সেগুলি হয় সাইকেলে না হলে হেঁটে করতে হবে। তেল কম তুলছি গত মাস থেকে।’’
জেলায় জ্বালানির দর বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী না মেলায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে বাস অটো, ট্রেকার মালিকদের একটা বড় অংশ। রোজ গাড়ি চালাতে পারছেন না। রবিবারও জেলায় বাস চলেছে ২২টি। রায়গঞ্জ এবং মালদহ থেকে এসেছে ৫-৭টি করে বাস। আগে অনেক বেশি চলত। বাড়তি ভাড়া দিয়েই বাসে চড়তে হচ্ছে বলে জানান কিছু যাত্রীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy