খুশির ইদ: নমাজ শেষে ইদগাহের মেলায়। নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। তার মধ্যেই ইদগাহ ময়দানগুলিতে একে একে নমাজ পাঠে হাজির হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। বুধবার নমাজ পাঠের পরেই অবশ্য মেঘ কেটে যায়। দুপুর থেকে আকাশ ঝলমলে হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে ইংরেজবাজার শহরের পার্ক, সিনেমা হল, রেস্তরাঁয়। রঙিন আলোয় উৎসবের আমেজে সেজে ওঠে ইদের মালদহ।
এ বারও নমাজ পাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় কালিয়াচকের সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহ ময়দানে। মসজিদ কমিটির দাবি, রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এই ইদগাহ ময়দানে এ দিন নমাজ পাঠে যোগ দিয়েছেন ১ লক্ষ ২০ হাজারেও বেশি মানুষ।
সুজাপুরের ন’টি মৌজার বাসিন্দা এখানে সামিল হন। ময়দানের ভিড় উপচে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও।
রমজান সম্পর্কে এ তথ্যগুলি জানতেন?
এ দিন সকাল সাতটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নমাজ শেষে যান নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে ওঠে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
ইংরেজবাজার শহরের ইদগাহ ময়দানে এ দিন উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ, উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার সহ, একাধিক কাউন্সিলরও। পুরসভার তরফে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। শহরের বিবিগ্রামে ২০০১ সাল থেকে চলছে মহিলাদের নমাজ পাঠ। এ দিনও প্রায় হাজার খানেক মহিলা নমাজ পাঠ করেন। দোয়াও করেন তাঁরা। মহিলা নমাজ কমিটির সম্পাদক সামিয়ারা বেগম বলেন, “দেশের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য আমরা নমাজ পাঠের পরে দোয়া করেছি। যাতে সারা বছর সকলে মিলে একসঙ্গে চলতে পারি।”
তবে সকালের দিকে আকাশের মুখ ভার থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছিল সুমি ইয়াসমিন, নয়না খাতুনেরা। তারা বলে, “ইদের আগেও আবহাওয়া খারাপ ছিল। এ দিন বৃষ্টি হলে উৎসবটাই মাটি হয়ে যেত।”
তবে দুপুরে রোদ ওঠার পর থেকেই শহরের শুভঙ্কর শিশু উদ্যানে ভিড় করতে থাকে কচি-কাঁচারা। যদিও পার্ক খোলে বিকেল চারটের দিকে। কালিয়াচকের বসির শেখ, আবু তালেহা জানায়, “সারা বছর তেমন ঘোরার সুযোগ থাকে না। এ দিন আনন্দে আগেই বাড়ি থেকে ঘুরতে বেরিয়ে যাই।” ইংরেজবাজার শহরের এক রেস্তরাঁ ম্যানেজার অশোক চৌধুরী জানান, হরেক কিসিমের বিরিয়ানি, চিকেন, মটনের পদ নিয়ে ইদের উৎসবে তৈরি ছিলেন তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy