স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বিনামূল্যে সরকারি টিকা। কিন্তু তা নিতেও খরচ করতে হবে গ্যাঁটের কড়ি। তবেই মিলবে কুপন। বুধবার এমনই অভিযোগ তুললেন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে টিকা নিতে আসা অনেকেই। পরিস্থিতি এমন হয় যে জেলার স্বাস্থ্য কর্তাকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান টিকাপ্রার্থীরা।
প্রতি দিন ৪০০ জনকে দেওয়া হবে টিকা। যারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের সংখ্যা গুনে প্রথম ৪০০ জনকে দেওয়া হচ্ছে কুপন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর বলছে, বিশৃঙ্খলা এড়াতেই নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। কিন্তু অভিযোগ, এই ব্যবস্থার মধ্যেই ঢুকে পড়ছে দালাল চক্রের ‘ভূত’। ভুয়ো ব্যক্তির নামে লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন তুলে তা বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল চত্বরে থাকা দালাল চক্রের বিরুদ্ধে।
টিকা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বললেন, ‘‘আমরা সকাল থেকে লাইন দিয়ে রয়েছি। কিন্তু অনেকেই ভুয়ো নাম দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে কুপন তুলে নিচ্ছে। পরে তা বিক্রি করে দিচ্ছে ৫০০ বা তার বেশি টাকায়।’’ লাইনে দাঁড়ানো পঁয়তাল্লিশ ঊর্ধ্ব এক ব্যক্তি বলে দিলেন, ‘‘এখন টিকার টানাটানি। সকলেই আগে পেতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতেও এমন দালাল চক্র নেমে পড়েছে।’’
দালাল চক্রের অভিযোগ পেয়ে বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে যান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শঙ্করলাল ঘোষ। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টিকাপ্রার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত নামে পুলিশ।
উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য টিকার লাইনে দালাল চক্রের কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। যাঁরা লাইনে ছিলেন তাদেরকেই টিকার জন্য টোকেন দেওয়া হয়েছে। টোকেন নিয়ে দালাল চক্র সক্রিয়। তারাই লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টোকন নিয়ে তা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। দালালরাই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে।’’ হাসপাতাল চত্বরে ওই দালাল চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত তার খোঁজখবরও নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy