বাঁ দিকে চ্যাম ছেত্রীর বাড়ি, ডান দিকে গির্জার ভাঙা দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র
এই বুঝি ঢুকে পড়ল বুনো হাতির দল!
এটা নিছকই আর শুধু আতঙ্ক কিংবা উদ্বেগ নয়। উত্তরের জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম, বনবস্তিতে খাবারের খোঁজে প্রায়ই আসছে বুনো হাতির দল। খেতের ফসলের পাশাপাশি ক্ষতি করছে ঘরবাড়িরও। ময়নাবাড়ি, তুরতুরি, রায়ডাক, হাতিপোতা চূনিয়া, ছিপড়া-সহ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া বসতি এলাকার বাসিন্দাদের এখন রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার মিলছে না বলেই খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসছে বুনো হাতির দল।
বুধবার রাতে একটি দলছুট বুনো হাতি ময়নাবাড়ির কাঞ্জালিবস্তির চ্যাম ছেত্রীর বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরের দেওয়াল, জানলা ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক বস্তা ধান ও চাল খায়। তার আগের দিন রাতেও দলছুট এক বুনো হাতি সরাসরি ঢুকে পড়ে কার্তিকা মিশন এলাকার একটি গির্জায়। সেখানে সীমানা প্রাচীর ভেঙে তাণ্ডব চালায়। মশাল জ্বালিয়ে হল্লার পরে হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়।
ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম, বনবস্তি ও চা বাগান এলাকায় এমন ঘটনা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের অনেকেই বন দফতরের বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগে ১৫৬ বার হাতি-হানার ঘটনা ঘটেছে। ৩৫টি ঘর ভাঙা পড়ছে। অন্তত ৪২ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে।
বনকর্তারা সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হবে।
পরিবেশকর্মী জীবনকৃষ্ণ রায় জানিয়েছেন, জঙ্গলের পরিধি কমে যাওয়ায় হাতিদের খাবারের উৎসও কমছে। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ৪৫০টির বেশি হাতি রয়েছে। একটি পুর্ণবয়স্ক হাতির প্রতিদিন ১৫০-১৭০ কেজি খাবার এবং ৫০-৭০ লিটার জল প্রয়োজন। সেই পরিমাণ খাবার জঙ্গলে না মেলায় খাবারের খোঁজে তাদের লোকালয়ে আসতে হচ্ছে। এ সমস্যা মেটানো অত্যন্ত জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy