প্রতীকী ছবি।
মুদির দোকান থেকে বিস্কুট চুরি করার অভিযোগে এক নাবালককে বেধড়ক মারধর করল তারই প্রতিবেশীরা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার জলপাইগুড়ি শহরের শান্তি পাড়ার পরেশ মিত্র কোলনির এই ঘটনার পরে কোতয়ালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে রাতে সে বাড়ি ফিরেছে বলে সূত্রের খবর। খুবই গরিব পরিবারের সন্তান এই কিশোরকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজনও বিব্রত বলে দাবি।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, ২২ জুলাই ওই নাবালক দুই সঙ্গীকে নিয়ে একই দোকানে চুরি করেছিল বলে অভিযোগ। সে দিন ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা ও কিছু দামি সরঞ্জাম চুরি করে একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয় বলে দাবি। এ বার সে একাই মঙ্গলবার রাতে ফের ওই দোকানের বিস্কুটের প্যাকেট চুরি করে। সকালে সে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে একাংশ বাসিন্দা নাবালকের বাড়ি তল্লাশি করে ওই প্যাকেটগুলো পান। এরপর স্থানীয়রা নাবালককে গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় খবর পেয়ে কোতয়ালি থানায় পুলিশ ওই নাবালককে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পড়শিদের অভিযোগ, এই নাবালক বারবার এলাকায় চুরি করে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে নাবালককে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। ওই নাবালক অসুস্থ কি না, সে খোঁজও নেওয়া দরকার বলে অনেকের দাবি।
দোকানের মালিক শুভাশিস সরকার বলেন, ‘‘এই নাবালক এর আগেও আমার দোকানে চুরি করেছিল। নাবালক হওয়ায় সেই সময় কেউ কিছু বলেনি। ফের চুরি করায় স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে।’’ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অন্য দোকানেও সে চুরি করেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর পরিমল মাল্য দাস বলেন, ‘‘এর আগেও চুরি হয়েছিল। এ দিন কী হয়েছিল, খোঁজ করে দেখব।’’ ওই নাবালকের পরিবারের দাবি, ‘‘অনেক বুঝিয়েছি। তারপরেও কেন এই রকম কাজ করছে জানা নেই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, যারা এই নাবালককে মারধর করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তাঁদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy