ত্রিপল খাটিয়ে করা হয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। এখনও চলছে এভাবেই। ঘুঘুমারির জামতলা এলাকায়। ছবি: হিমাংশু রঞ্জন দেব
একটু একটু করে বদলাতে শুরু করেছে দৃশ্য। ভেঙে পড়া বাড়ি কোনও রকমে দাঁড়় করানোর চেষ্টা করছেন কেউ। কেউ ভেঙে পড়়া খুঁটি মেরামত করে ঘর তৈরির চেষ্টা করছেন। কোচবিহার ঝড়বিধ্বস্ত এলাকায় এখন চলছে এক কঠিন লড়়াই। ঝড়ের চার দিন পরে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ঘেরা জায়গায় কোনও রকমে রান্নার চেষ্টা করছেন জামতলার গৃহবধূ গঙ্গা বর্মণ। তাঁর কথায়, “আমরা দিন আনি, দিন খাই। হাতে টাকা নেই যে চট করে ঘর তৈরি করব। তাই ত্রিপল দিয়ে ভাঙা ঘরটি ঢেকে রাত কাটাচ্ছি।”
একটি ঘর কোনও রকম ভাবে ঠিক করার চেষ্টা করছেন সমরেশ বর্মণ। তাঁর কথায়, “ত্রিপলে রাত কাটানো আরও কষ্টের। তাই যা কিছু ভেঙে পড়েছিল তাই দিয়েই ঘর তৈরির চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকের হাজিরাও অনেক। সে টাকা জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ছে।”
ঝড়বিধ্বস্ত সুটকাবাড়ি, মোয়ামারির একটি বড়় অংশের মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এখন রমজান মাস। দিনের বেলা তাঁরা ‘রোজা’ পালন করছেন। রাতেই খাবারের ব্যবস্থা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মজিবর রহমান, সাজিনা খাতুনরা বলেন, “খুবই কষ্ট হচ্ছে। তার মধ্যেই একটু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ভাঙা বাড়ি যে ভাবে গুছিয়ে নেওয়া যায়।” আতাউর রহমান বলেন, “নিজে কাজ করতে বেরোতে পারছি না। অল্প অল্প করে নিজেকেই বাড়ির কাজ করতে হচ্ছে। এমন ভাবে বাড়ি থাকলে তো ভাল লাগে না।” ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা জানান, এই মুহূর্তে তাঁদের ঘর-বাড়ি ঠিক করা প্রয়োজন। সে জন্য প্রথমে ভেঙে পড়া ঘর সরাতে হবে। তার পর সেখানে নতুন করে ঘর তৈরি করতে হবে। নতুন ঘর তৈরি করতে হল টিন, কাঠ, খুঁটি প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শ্রমিকের মজুরির ব্যবস্থাও করতে হবে।
প্রশাসনের তরফে একটি সমীক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারের তরফে বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়নি। তার মধ্যেই কিছু মানুষ বিচ্ছিন্ন ভাবে ওই বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়়াচ্ছেন। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারি বলেন, “মৃতদের পরিবারের হাতে ইতিমধ্যেই টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত
এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতেও সাহায্য তুলে দেবে সরকার।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা দলীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে টিন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই কিছু পরিবারকে টিন দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy