তাপমাত্রায় কি কলকাতাকে ছুঁতে চাইছে শিলিগুড়ি— রবিবাসরীয় দুপুরে এমন প্রশ্নই ঘোরাফেরা করেছে শিলিগুড়িতে থাকা বাসিন্দাদের মধ্যে।
এ দিন দুপুরে পাহাড়েও ঠান্ডার আমেজ বলতে গেলে নেই। বদলে বেশ গরম অনুভূত হওয়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন। বিশেষ করে গরমে একটু আরামের খোঁজে যাঁরা ছুটি নিয়ে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল, পাহাড়ে ক’টা দিন ঘুরতে এসেছেন পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে, তাঁরা এমন পরিস্থিতিতে এ দিন ঘেমে-নেয়ে একসা। তাপমাত্রার খোঁজ নিতে হাতের সামনে মোবাইল অ্যাপে চোখ রেখেও অনেকে ভ্রূ কুঁচকেছেন। শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি দেখাচ্ছে যে! কলকাতায় তো এ দিন ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
জলপাইগুড়ি এবং ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় এ দিন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির উপরে ঘোরাফেরা করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, মালদহে এ দিন ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গরমের অনুভূতি ছিল আরও বেশি। আবহাওয়া বিষয়ক বেশ কিছু ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে এ দিন শিলিগুড়িতে যে তাপমাত্রা ছিল, সেই অনুযায়ী গরমের অনুভূতি ছিল প্রায় ৪১ ডিগ্রি। আকাশ মেঘলা থাকায় দুপুরের পর থেকে গরম বাড়তে শুরু করে। কলকাতা থেকে ঘুরতে এসে পাহাড়ে যাওয়ার পথে এ দিন শিলিগুড়িতে পৌঁছন দীপক মজুমদার এবং তাঁর পরিবার। সোদপুরের বাসিন্দা দীপকবাবু বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে প্রচণ্ড গরম লাগছে। ভেবেছিলাম এখানে এসে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। এখন তো মনে হচ্ছে, গরমের চোটে ঘুরতে আসার আনন্দটাই না মাটি হয়।’’ তাঁর আশা, ‘‘দেখি পাহাড়ে পৌঁছে যদি কিছুটা মন ভরে।’’
সাধারণত গরম পড়লে বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা থাকে। তবে আকাশ মেঘলা থাকলেও বিকেল পর্যন্ত শিলিগুড়িতে বৃষ্টি না মেলায় হাসফাঁস অবস্থা সকলেরই। রবিবার অনেকে কেনাকাটা করেন বলে বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একাংশ দোকান খুলে রাখেন খদ্দেরের আশায়। তবে এ দিন গরমে বাজারে লোকজন খুবই কম ছিল বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy