আতঙ্ক উত্তরবঙ্গে
কোভি়ডের সাম্প্রতিক স্ফীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে অ্যাসিড পোকা (নাইরোবি ফ্লাই) নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গে। এই অ্যাসিড পোকার আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন তরুণ-তরুণীর চিকিৎসা করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ বার উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতেও হানা দিল অ্যাসিড পোকা।
ধূপগু়ড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিনেমাহল পাড়ায় অর্ঘ্য রায় নামে এক যুবক এই পোকার হানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, অর্ঘ্যের ঘাড়ে ও চোখের ঠিক নীচে ঘা হয়ে গিয়েছে। যে জায়গায় পোকা কামড়েছে, সেই জায়গাটি ফুলে গিয়েছে। ত্বকে অ্যাসিড লাগলে যে রকম দেখতে লাগে, পোকার কামড়ে তৈরি হওয়া ঘায়ের জায়গাটি সে রকমই দেখতে লাগছে বলে জানিয়েছে অর্ঘ্যের পরিবার। বাবা নেপাল রায় বলেন, ‘‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে টিভিতে দেখছিলাম, অ্যাসিড পোকার আক্রমণে বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়েছেন। অ্যাসিড পোকার কামড়ে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, আমার ছেলের ঘাড়ে-চোখের নীচেও সেই ধরনের একই জিনিস। আমরা খুবই আতঙ্কিত।’’
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া এই পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। শিলিগুড়ির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়াঙেও অ্যাসিড পোকার উপদ্রব বেড়েছে। যদিও কেউই এখন আর হাসপাতালে ভর্তি নেই বলে জানাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘এখন কেউ ভর্তি না থাকলেও প্রচুর লোক অ্যাসিড পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মূলত জলা জায়গায় বা স্যাঁতসেঁতে এলাকাতেই এই ধরনের পতঙ্গের দেখা পাওয়া যায়। বর্ষার জলেই এই পতঙ্গের উৎপত্তি। সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমি নিজেও এই পতঙ্গ নিয়ে আতঙ্কিত৷ কিছু পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে পরিবেশ। প্রয়োজনে দরজা বা জানালায় নেট লাগিয়ে রাখতে হবে। স্টেরয়েড টাইপের মলম ব্যবহার করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy