আতঙ্ক: রবিবার সকালে মালদহের পারঅনুপনগরে গঙ্গা ভাঙন। নিজস্ব
দু’বছর আগে সেচ দফতরের তরফে বোল্ডার দিয়ে ভাঙন রোধ হওয়ায় ফের গঙ্গা পাড়ে বসবাস শুরু করেছিলেন একাধিক বাসিন্দা। কিন্তু কিন্তু রবিবার সকালেই স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকারের পাকা বাড়ি ও মন্দিরের একাংশ ভেঙে তলিয়ে যায় গঙ্গায়। আরও কয়েক জন গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি গঙ্গার কাছাকাছি চলে এসেছে। মালদহের পারঅনুপনগরে বোল্ডার বাঁধানো পাড়ের একাংশ ধসে ফের ভাঙন শুরু হওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে। যদিও এ দিন দুপুর থেকেই নাইলন ক্রেটে বালির বস্তা ভরে ভাঙন ঠেকানো শুরু করেছে সেচ দফতর।
২০১৮ সালে পারদেওনাপুর পঞ্চায়েতের পারলালপুর থেকে পার অনুপনগর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় বোল্ডার দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করেছিল সেচ দফতর। গত বছর সে ভাবে তাই আর ভাঙন হয়নি। তবে জলের তোড়ে পার অনুপনগরে ভাঙন প্রতিরোধের কাজের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে সেখানে বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতিও সামাল দেওয়া হয়। বাসিন্দারা বলেন, ‘‘এ দিন সকালে ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেই ভাঙন প্রতিরোধের কাজের প্রায় ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়ে। সেখানেই পাকা বাড়ি শ্যামলের ও একটি মন্দির ছিল। গত বছর ভাঙন প্রতিরোধের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁর বাড়ি ও মন্দিরের একাংশ নদীর দিকে হেলে পড়েছিল। এ দিন সকাল থেকে ফের ভাঙন শুরু হলে ওই বাড়ি ও মন্দিরের একাংশ নদীতে পড়ে যায়।’’ শ্যামল বলেন, ‘‘তিল তিল করে পাকা বাড়ি ও একটা মন্দির করেছিলাম। আজ সবটাই গঙ্গায় চলে গেল।’’ এ দিকে স্থানীয় পঙ্কজ মণ্ডল, অভিমন্যু সরকাররা বলেন, ‘‘দু’বছর আগে বোল্ডার দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলাম। সেই কাজেও ধস নেমে ভাঙন শুরু হওয়ায় বাড়ি আর টিকবে কিনা সেই আতঙ্কে রাতের ঘুম চলে গিয়েছে।’’ সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহী আধিকারিক প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘পারঅনুপনগরের কিছু অংশে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো শুরু করা হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy