সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে বৈঠকে কেন ডাকা হল না, দীর্ঘ ন’মাস পরে হওয়া পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সে প্রশ্ন তুললেন পুর প্রতিনিধি সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপের প্রশ্নে সহমত পোষণ করেন এক নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি নীলম শর্মাও। বৈঠকে বিরোধীদের পরিবর্তে তৃণমূলে যাঁরা সৈকত-অনুগামী বলে স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিত, তাঁরাই উপ-পুরপ্রধানের প্রসঙ্গ তোলেন। এ দিন বৈঠকে সন্দীপ ঘোষ দাবি করেন, সৈকত জলপাইগুড়িতেই ছিলেন এবং পুরসভার বৈঠকের চিঠি পাননি বলে আসতে পারেননি। পুরপ্রধান পাপিয়া পাল অবশ্য বলেন, ‘‘গত পাঁচ মাস ধরে সব সভার, সব বিষয়ের চিঠি উপ-পুরপ্রধানকে পাঠানো হয়েছে। এ দিনের সভার চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তা ছাড়া, পুর প্রতিনিধিদের সমাজমাধ্যমের গ্রুপেও জানানো হয়েছে।"
দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন হাই কোর্টের পরে, সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে সৈকতকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে হবে। দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি সন্দীপ ঘোষও। এই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি।
গত জুন মাস থেকে সৈকত চট্টোপাধ্যায় ‘উধাও’। পুরসভার বোর্ডের সভাও দীর্ঘ দিন ধরে হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় গরহাজির থাকার ‘অস্বস্তি’ ঢাকতেই পুরসভা বৈঠক ডাকছে না। পুজোর মুখে বিভিন্ন সংস্কার-কাজের সিদ্ধান্ত নিতে এ দিন
জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেমন, এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পানীয় জল অতিরিক্ত এক ঘণ্টা করে
দেওয়া হবে।
দুই অনুগামী পুরপ্রতিনিধি বৈঠকে প্রশ্ন তোলার পরে চর্চা শুরু হয়েছে, তবে কি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সত্যিই জলপাইগুড়িতে রয়েছেন? জেলা পুলিশের এক অফিসারের কথায়, ‘‘সৈকত চট্টোপাধ্যায় কোথায় আছেন, তা জানার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে, যাঁরা জানেন, তাঁদের ডেকেও তথ্য জানতে চাওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy