Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

খুচরো বিপাকে ব্যাহত পুজো

ইতিমধ্যে মন্দির সাফাই ও অন্য কাজকর্মের খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মন্দির কমিটিকে। বালুরঘাট বুড়াকালী পুজো কমিটির সভাপতি হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। খুচরো সমস্যার বিষয়টি তাঁকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান বিকাশবাবু।

স্তূপ: বুড়াকালী মন্দিরে জমছে কয়েন। ছবি: অমিত মোহান্ত

স্তূপ: বুড়াকালী মন্দিরে জমছে কয়েন। ছবি: অমিত মোহান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৩০
Share: Save:

ব্যাঙ্ক খুচরো কয়েন নিতে না চাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কালীপুজোর আয়োজন। এমনই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।

শহরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বুড়াকালী মন্দিরে খুচরো পয়সা জমে পাহাড় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই পয়সা নিতে চাইছে না ব্যাঙ্ক। মন্দির কমিটির সম্পাদক বিকাশ ভৌমিক বলেন, ‘‘এক, দুই ও পাঁচ টাকার কয়েনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা কালীবাড়িতে জমে রয়েছে।’’ মন্দির কমিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। সেখানে খুচরো পয়সা নিয়ে গেলে ফেরত নিয়ে আসতে হয় বলে বিকাশবাবুর দাবি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ব্যাঙ্ক খুচরো পয়সা নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। এখন দীপাবলিতে কী করে পুজোর আয়োজন হবে বুঝতে পারছি না।’’

ইতিমধ্যে মন্দির সাফাই ও অন্য কাজকর্মের খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মন্দির কমিটিকে। বালুরঘাট বুড়াকালী পুজো কমিটির সভাপতি হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। খুচরো সমস্যার বিষয়টি তাঁকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান বিকাশবাবু।

শুধু বুড়াকালী নয়। শহরের ঐতিহ্যশালী চকভবানী কালীবাড়ি, চকভৃগু কালীবাড়ি, মোটর কালীবাড়ি, ব্রিজকালীর মতো একাধিক মন্দিরের কর্মকর্তারাও খুচরো পয়সা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। ওই কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, সারাবছর ধরে রোজ কালীমন্দিরে ভক্তরা পুজো দেন। পাশাপাশি দক্ষিণার প্রচুর খুচরো কয়েন জমা পড়ে। দীপাবলির সময় কালীপুজোর আগে সেই খুচরো পয়সা একসঙ্গে করে ব্যাঙ্কে বদলে টাকা নিয়ে আসা হয়। সেই টাকা দিয়েই পুজোর আয়োজন করা হয়। ওই পদ্ধতি আটকে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। কালীমন্দিরে জমে থাকা খুচরো কয়েন জমা নিতে কমিটির তরফে জেলাশাসক এবং লিডব্যাঙ্ক অফিসারকে জানানো হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kali Puja 2017 কালীপুজো
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE