—প্রতীকী ছবি।
শীতের সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুনতে গিয়ে বা মেলার মাঠে ঘোরার ফাঁকেই করা যাবে পর্যটন দফতরের রাজ্যের বিভিন্ন আবাসের বুকিং। মিলবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে নানা আকর্ষণীয় খোঁজখবরও। করোনা আবহে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে সরকারি স্তরে চাঙ্গা করতে এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। নতুন বছরের গোড়ায় এ ভাবেই ময়দানে নামতে চলছে পর্যটন দফতর।
সরকারি সূত্রের খবর, নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠানের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পর্যায় হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বাংলার সৃষ্টি এবং কৃষ্টি নিয়ে হবে জেলায় জেলায় তিনদিন করে হবে মেলা, এক্সপো, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে প্রত্যেক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে ৩ দিন করে থাকবে পর্যটন দফতরের ক্যাম্প অফিস। সেখানে রাজ্যের পর্যটনের হাল হকিকৎ ছাড়়াও বুকিংয়ের সুবিধাও থাকবে।
পর্যটন দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন, করোনার থাকাকালীন পর্যটন ধীরে ধীরে চালু হয়েছে। পুজোর সময় প্রথমে স্থানীয় জেলা বা আশেপাশের রাজ্যের লোকজন আসা শুরু করেন। পুজোর পর থেকে বাইরের রাজ্যের পর্যটকেরাও আসছেন। বড়দিনের সময় উত্তরবঙ্গে ভাল ভিড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের কিছু জায়গায় ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। এর পরেই রয়েছে ডুয়ার্স, সিকিম। আবার উত্তর থেকে বহু মানুষ কলকাতার লাগোয়া এলাকা শান্তিনিকেতন, সুন্দরবন, বিষ্ণুপুর, দিঘার মতো এলাকাগুলিতে যাচ্ছেন।
কিন্তু রাজ্যের বাসিন্দারাই করোনায় বহুদিন ঘরবন্দি থেকে মুক্ত হাওয়ায় দম নিতে বেশি বার হচ্ছেন। নিজেদের গাড়ি নিয়ে শনি-রবিবারই দল বেঁধে ঘোরাটা চালু হয়ে গিয়েছে। তাই জেলার মানুষদের মধ্যে বেশি প্রচারের জন্যই পর্যটন দফতর ‘বাংলা মোদের গর্ব’-তে অংশ নিচ্ছেন।
রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘করোনার সঙ্গে লড়াই করেই আমাদের সবাইকে এগোতে হচ্ছে। পর্যটনে বিস্তর ক্ষতি হলেও তা ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী। এই লক্ষ্যেই নানা প্রকল্প এবং উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, গত ২ ডিসেম্বর রাজ্য পর্যটন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা (সদর) দফতরের উত্তরবঙ্গের সহকারী অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে সাতটি এলাকায় ‘বাংলা মোদের গর্ব’ অনুষ্ঠানের মধ্যে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৫-১৭ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠ, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর কোর্ট গ্রাউন্ড, দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের অনুষ্ঠানে পর্যটন দফতর আলাদা করে অফিস করে বসবে। এর পরে ২৯-৩১ জানুয়ারি কালিম্পং, জলপাইগুড়ির জেলার বেলাকোবা লাইব্রেরি গ্রাউন্ড, আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড এবং কোচবিহার রাস মেলা গ্রাউন্ডে একই ভাবে অফিস খোলা হবে।
মেলায় অন্য স্টলগুলিতে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে উৎসাহী বাসিন্দারা পর্যটন দফতরের অস্থায়ী অফিসে গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রগুলির সম্পর্কে জানার পর ইচ্ছা হলে বুকিং করতে পারবেন। তবে মেলা থেকে বুকিংয়ে বিশেষ কোনও ছাড়় থাকবে কি না, তা এখনও সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy