—প্রতীকী চিত্র।
এ বার অঞ্চলে-অঞ্চলে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন। সে মতো পরিকল্পনা নিয়ে এগোতেও শুরু করেছে তৃণমূল। কোচবিহারে কোন এলাকায় কার কার বাড়ি ঘেরাও করা হবে তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। কোচবিহারে বিজেপির এক জন মন্ত্রী এবং ছয় জন বিধায়ক রয়েছেন। যাঁদের অনেকেই গ্রামে থাকেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ভেটাগুড়িতে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ইতিমধ্যেই আগামী ৫ অগষ্ট ভেটাগুড়ি অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তবে নিশীথ জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাই তাঁর বাড়ির খুব কাছাকাছি যে তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছতে পারবেন না, তা প্রায় পরিষ্কার। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়ের বাড়ি কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের পুন্ডিবাড়িতে। আরও দুই বিধায়ক মাথাভাঙার সুশীল বর্মণ, শীতলখুঁচির বরেন বর্মণের বাড়িও গ্রামে। সেই সব বাড়ি তৃণমূল ঘেরাও করবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিজেপি অবশ্য পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘এ বার আমরা আর হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। পাল্টা প্ৰতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে যারা অঞ্চলে-অঞ্চলে, ব্লকে সরকারি টাকা চুরি করেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছেন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও হবে।’’ বিজেপির দাবি, গ্রামে গ্রামে কোন কোন তৃণমূল নেতা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সে তালিকা তাদের হাতেই রয়েছে। সেই তালিকা ধরে হবে ঘেরাও।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে একশো মিটার দূরত্বে তা করা হবে। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মসূচি যে কেউ নিতেই পারে। আর বিজেপি কি মিছিল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে যায়নি, এখন গেল গেল রব তুলছে। বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির জন্য মানুষের প্রয়োজন। সে মানুষ বিজেপির সঙ্গে নেই।"তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, দলের নির্দেশ মেনে ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি নেওয়া হবে।
কোচবিহারে বিজেপির সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে জয়ী হয় বিজেপি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কোচবিহারে সাতটি আসন পায় কেন্দ্রের শাসক দল।। পরে উপনির্বাচনে একটি আসনে হেরে যায়। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কোচবিহারে ১২৮ টির মধ্যে ২২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। মাথাভাঙা, কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক এবং তুফানগঞ্জে বিজেপির সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালি। সে সব কথা মাথায় রেখেই চিন্তিত প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy