এক সময় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে টুরিজ়ম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্টের ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম পড়ানো হত। মুম্বইয়ে তাজ হোটেল বা গোয়ায় গিয়ে পডুয়ারা হাতেকলমে শিখতেনও। পড়ুয়ার অভাবের জন্য, সে কোর্স উঠে যায় দশ বছর আগে। জমি হস্তান্তর নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এ বার সেই পুরনো কোর্স চালুর দাবি উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই ডিপ্লোমা কোর্স ‘কালচারাল টুরিজ়ম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট’-এ স্নাতক স্তরের পড়ুয়ারা সুযোগ পেতেন। এক বছরের কোর্স। ইতিহাস বিভাগের ঘরে ক্লাস হত। কোর্স পরিচালনার আলাদা কমিটি, যার ডিরেক্টর তথা কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক তাপসকুমার রায়চৌধুরী। তিনি অবসর নিয়েছেন। কোর্সের ফ্যাকাল্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য, ইতিহাস বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা ছিলেন। পর্যটন দফতরের আধিকারিকেরা, হোটেল ব্যবসায় যুক্তরা ‘অতিথি শিক্ষক’ হিসাবে প্রশিক্ষণ দিতেন। তৎকালীন রেজিস্ট্রার তাপসকুমার চট্টোপাধ্যায়ও ক্লাস নিতেন। উপাচার্য ছিলেন রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বাণিজ্য শাখার শিক্ষক হওয়ায়, নিজেও ক্লাস নিতেন।
কোর্সের সঙ্গে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালার তৎকালীন কারিগরি নির্দেশক বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান জানান, দু’টি পেপার ছিল। একটার জন্য ভিন্-রাজ্যের পর্যটন বিভাগ যেমন মহারাষ্ট্র টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, গোয়া টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আওতায় পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণে পাঠানো হত। তাজ হোটেলে এক দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তাজের কর্মী, আধিকারিকেরাই প্রশিক্ষক। অজন্তা, ইলোরায় গিয়ে এবং গোয়ায় পর্যটনের উন্নয়নে পর্যটকদের মতামত নিতে হত পড়ুয়াদের। এই দুই জায়গায় পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণে থাকতেন ফজলুর রহমান।
শেষের দিকে ওই কোর্সের ডিরেক্টর ছিলেন কমার্সের অধ্যাপক সমীরেন্দ্রনাথ ধর। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়ার অভাবে ওই কোর্স বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পর্যটন এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট—দু’টো আলাদা থাকা দরকার। এক সঙ্গে ছিল বলে পড়ুয়ারা কাজের ক্ষেত্রে গিয়ে সমস্যা পড়তেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন পড়ার সুযোগ রয়েছে। আমাদের এখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তা হতে পারে।’’ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট গড়তে ২০১৯ সালে যে কমিটি হয়েছিল তার সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোর্স চালুর পক্ষেই মত দিয়েছিলাম। সোসাইটিকে জমি দিতে আমরা তখনও বলিনি।’’ ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও মঞ্চ’-এর সম্পাদক অর্ধেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কেন হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স চালু করা যাবে না, কেন সোসাইটিকে জমি হস্তান্তর করতে হবে, বুঝে উঠতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy