প্রতীকী ছবি
এ বার ‘করোনা পজ়িটিভ’ রোগীদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানোর ক্ষেত্রেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনে লালারস পরীক্ষায় এক তরুণী-সহ পাঁচ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওইদিন সকালেই জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষার আর্জি জানিয়ে তাঁদের লালারসের নমুনা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, শনিবার পর্যন্ত ওই পাঁচজনের রিপোর্ট মেলেনি। আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই পাঁচজনই মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের একটি কোয়রান্টিনে ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের লালারসের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের রিপোর্ট দ্রুত জানতে ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনেই সেই পরীক্ষা হয়। সেখানে প্রত্যেকের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘ট্রুন্যাট মেশিনে পরীক্ষায় কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সেটা নিশ্চিত করতে ওই মেশিনেই দ্বিতীয় ধাপে আর একটি পরীক্ষা প্রয়োজন। যার জন্য প্রয়োজনীয় কিট পেতে আরও অন্তত কুড়ি-পঁচিশ দিন অপেক্ষা করতে হবে।’’
এই অবস্থায় ট্রুন্যাট মেশিনে করোনা পজ়িটিভ হওয়া ওই পাঁচজনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠান আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, গোটা জরুরি ভিত্তিতে ওই পাঁচজনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হচ্ছে। তার পরেও সেই রিপোর্ট আসেনি। এই অবস্থায় তপসিখাতার করোনা সারি হাসপাতালে ভর্তি রেখেই ওই পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
আলিপুরদুয়ারের চিকিৎসককদের একটা বড় অংশের কথায়, গত বুধবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা ১৬ মে-র রিপোর্টে দেখা যায় ফালাকাটার বাসিন্দা চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে। অথচ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁদের তিন জনকে দশদিন আগেই কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে নিজের নিজের বাড়ির এলাকায় তাঁর অনেকের সঙ্গেই অবাধে মেলামেশা করেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy