ত্রাণ বিলিতে ব্যস্ত মন্ত্রী। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
মাস ছয়েক আগে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে বেশ কয়েকদিন বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হতেই ফের মাঠে নেমে পড়েছেন। লকডাউন শুরু হতেই সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে প্রবীণদের। কিন্তু চাল-ডাল, তেল-নুন হাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রতিদিনই প্রায় ত্রাণ বিলোচ্ছেন। বিরোধীরা অভিযোগ, মন্ত্রী হয়েও তিনি সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। ত্রাণ বিলিতেও তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সাফ কথা, “এই সময় বহু মানুষ কষ্টে রয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এখানে রাজনীতি দেখছি না। সমস্ত নিয়ম মেনেই আমি কাজ করছি।”
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার অভিযোগ, রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়েও রবীন্দ্রনাথ নিজেই লকডাউন মানছেন না। তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার গরিব মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছতে পারছে না। রেশনে ব্যাপক দুর্নীতি। সেখানে এক মন্ত্রী কিছু চাল-আলু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসলে নিজের দলের মধ্যে চাপে আছেন বলেই হয়তো নিজের প্রচার চাইছেন।” রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি বিধায়ক ও মন্ত্রী হন। গত লোকসভা নির্বাচনে হারের পর দল তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে বড় অঙ্কের ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে কোচবিহার জেলার সব জায়গার সঙ্গে নাটাবাড়ি কেন্দ্রেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ঘরছাড়া হয়ে ছিলেন দীর্ঘসময়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। অনেকেই দাবি করেন, সেই জন্যেই এই বিপদের সময় একটু ঝুঁকি নিয়ে পাশে থেকে নিজের পালে হাওয়া তুলতে চাইছেন রবীন্দ্রনাথ। মন্ত্রী বলেন, “ আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy